খেলা

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারালো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

অবশেষে জয়ে ফিরলেন কোহলিরা। প্রথমে ব্যাট করে ২০৬ রান তোলার পর মনে হয়েছিল, হয়তো হায়দরাবাদের কাছে এই রান কিছুই নয়। কিন্তু প্রথম ওভারে হেডের আউট হয়ে যাওয়ার ধাক্কা গোটা ম্যাচে আর সামলাতে পারল না তারা। ফলস্বরূপ ৩৫ রানে হার স্বীকার করতে হল বেঙ্গালরুর কাছে। এদিন টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আরসিবি। অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে শুরুটা ভালোই করেছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ডু প্লেসিস ১২ বলে ২৫ রান করে আউট হওয়ার পর নেমেই আউট হন উইল জ্যাকস (৬)। রজত পতিদারকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন কোহলি। প্রথম দিকে তাঁর স্ট্রাইক রেট ভালোই ছিল। কিন্তু পরের দিকে ধরে খেলার নীতি নেওয়ায় শেষপর্যন্ত ৪৩ বলে ৫১ করেন ‘কিং’। বেঙ্গালুরুর খেলায় আসল ম্যাজিক দেখালেন রজত পতিদার। ২০ বলে ৫০ রান করে যান তিনি। ২টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ক্যামেরন গ্রিন করেন ২০ বলে ৩৭। জয়দেব উনাদকাট ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন। বলের গতির হেরফের করে সমস্যায় ফেলেন কোহলিদের। হায়দরাবাদ যেমন অভিষেকের মতো স্পিনারকে দিয়ে শুরু করেছিল, তেমনই আরসিবিও নিয়ে আসে অফস্পিনার উইল জ্যাকসকে। অভিষেক সাফল্য পাননি। জ্যাকস কিন্তু ট্রাভিস হেডের মোক্ষম উইকেটটি তুলে নিয়ে দারুণ ঝটকা দেন। যদিও অভিষেক শর্মা জোড়া ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারি সহযোগে ১৩ বলে ৩১ রান করে পালটা জবাব দেন। কিন্তু তাঁর উইকেট হারানোর পর বেকায়দায় পড়ে যায় হায়দরাবাদ। পর পর উইকেট পড়তে থাকে। মার্করাম (৭), নীতীশকুমার রেড্ডি (১৩), ক্লাসেন (৭) কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। প্যাট কামিন্স চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তিনিও ১৫ বলে ৩১ করে ফিরে যান। রানরেট ঠিকই ছিল। কিন্তু লাগাতার উইকেট পড়তে থাকায় ক্রমশই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে থাকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শেষ পর্যন্ত রানে আরসিবির কাছে হেরেই মাঠ ছাড়তে হল তাদের।