ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে এবার আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান সরসংঘচালক। সেখানেই কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের। প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং তিন সেনার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তারপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা। এবং তারপর আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ। প্রধানমন্ত্রীর পর পর বৈঠকে ভারত-পাক যুদ্ধের জল্পনা বাড়ছে। মঙ্গলবারই পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহ পূরণ হয়েছে। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার বা নিকেশ করা যায়নি। এদিকে এই হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী মোদি সেনার উপরে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন। এবং সেই সঙ্গে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেন প্রত্যাঘাতের। এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নিজের ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই সংঘপ্রধানের সঙ্গে তাঁর বৈঠক। নয়াদিল্লিতে একের পর এক কর্মকাণ্ডে যুদ্ধের জল্পনা আরও বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়ার পর যেভাবে সরসংঘপ্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করলেন সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এমনিতে আরএসএস প্রধান সরকারি কোনও পদে নেই। সরকার কোনও বড় পরিকল্পনা করলে সেটা সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করার প্রয়োজন পড়ে না কেন্দ্রের। তবে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ক্ষেত্রে বিষয়টি অন্যরকম। সংঘ বিজেপির আদর্শগত ভিত্তি। যে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংঘকে অবহিত করাটা বিজেপির অঘোষিত রীতি। প্রধানমন্ত্রীর এবং ভাগবতের সাক্ষাতের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী?
