আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গণে। আর এ বছর আন্তর্জাতিক বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে বইমেলায় থিম কান্ট্রি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। ইতিমধ্যেই মেলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের তরফে আজ একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে জানানো হয়, “৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বইমেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত বছর বন্ধ ছিল বইমেলা। তাই বইপ্রেমীদের মন খারাপ হয়ে পড়ে। তবে সেই সব জল্পনার অসান ঘটিয়ে এবার বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবছরও ভারতের অন্যান্য রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা থাকবে এই মেলায়। সঙ্গে থাকবে লিটল ম্যাগাজিনও। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা লিটল ম্যাগাজিন অফিসে আবেদন করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক বইমেলার বিশেষ আকর্ষণ অষ্টম কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল। বই মেলা চলাকালীনই এটি অনুষ্ঠিত হবে। আজ পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত দুবছরে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন একাধিক বড় নক্ষত্র। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ,প্রণব মুখোপাধ্যায়,অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, মানবেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়,স্বপন মজুমদার,বুদ্ধদেব দাসগুপ্ত,শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো একাধিক বরেন্দ্র ব্যক্তি। পাশাপাশি গিল্ডের সদস্য শমিত সরকার, তপন মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস লাহিড়িকেও শ্রদ্ধা জানানো হবে।”তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই মেলার আয়োজন করার ফলে কোভিড বিধি মানতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক বইমেলা কোভিড বিধি –
- মাস্ক ছাড়া কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।
- প্রতিটি স্টল খোলা-মেলা থাকবে। বদ্ধ অবস্থায় স্টল দেওয়া যাবে না।
- মাঠের মধ্যে যতটা সম্ভব উন্মুক্ত এলাকা রাখতে হবে।
- মেলার মধ্যে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
- প্রয়োজন পড়লে স্টলের মাপ কমাতে হবে।
- স্যানিটাইজার ও করোনা টিকার দুটি ডোজের উপর জোর দেওয়া হবে।
- ই-পাস নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।



