কলকাতাঃ এবার স্কুল বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হল। এদিন তা ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে স্থানীয় শিক্ষকদের দিয়ে কীভাবে পড়ুয়াদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে বিকল্প পথের কথাও স্কুল শিক্ষা দফতর ভাবছে বলে তিনি জানান। বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে উচ্চশিক্ষা চলবে তা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিজেরা ঠিক করে নেবে। মন্ত্রী এদিন জানান, ‘একে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে চিন্তা রয়েছে, তার উপরে ঘূর্ণিঝড় উমফানেও বড় ক্ষতি হয়েছে। আট জেলার বহু স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যান্য জেলাতেও বহু স্কুলের কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও জেলায় জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের আইসোলেশনে রাখার জন্য স্কুল ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।’ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, উচ্চমাধ্যমিকের বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। উমফানে ক্ষতিগ্রস্ত আট জেলায় মোট উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল ১০৫৮টি। এর মধ্যে ৪৭০টি কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিকল্প কেন্দ্র বাছার কাজ শুরু হয়েছে। পরীক্ষার জন্য কয়েকটি কলেজকেও কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। করোনা থাবায় তিনটি পরীক্ষা বাকি থাকতেই বন্ধ হয়ে যায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। গত ১৯ মে শিক্ষামন্ত্রী জানান, উচ্চমাধ্যমিকের সেই বাকি থাকা তিনটি পরীক্ষা হবে ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাই। এদিন জানান, সেই তারিখেই পরীক্ষা হবে। তবে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র বদল হতে পারে। চেষ্টা করা হচ্ছে, যতটা সম্ভব কাছাকাছি স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র করা যায়। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য পরিবহণের ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। উমফানের কারণে যাঁদের বই নষ্ট হয়ে গেছে তাঁদের সরকারের তরফে বই দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে এদিন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, সবার আগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যাতে বই পায় সেটা দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। স্কুল শিক্ষা বন্ধ থাকলেও যে বিকল্প পথে পড়ুয়াদের লেখাপড়া বজায় রাখতে চাইছে সরকার তাতে স্কুলের স্থানীয় শিক্ষকরা যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট ছোট দল তৈরি করে ছাত্রছাত্রীদের পড়াবেন। এটা ঠিক করবেন স্কুল শিক্ষা দফতরের ডিআই, এসআই স্তরের আধিকারিকরা। এদিন শিক্ষামন্ত্রী সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল বন্ধের কথা বললেও বেসরকারি স্কুলগুলি কবে খুলবে সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।