জেলা

অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত সিকিম, বাড়ছে তিস্তার জল, জলপাইগুড়িতে জারি সতর্কতা

 সিকিমের বিপর্যয়ের পুরোদস্তুর প্রভাব পড়ল জলপাইগুড়িতে। গতকাল, মঙ্গলবার পর্যন্ত শান্ত তিস্তা নদীর জল, আজ, বুধবার ছুঁয়ে গেল বিপদসীমা। গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হল রেকর্ড পরিমাণ জল। সেচ দপ্তরের সকাল দশটার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮ হাজার ২৫২ কিউমেক জল ছাড়া হয়। তাছাড়াও ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতি ঘন্টায় কখনও ৭ হাজার, কখনও ৬ হাজার কিউমেক জল তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়। সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, একসঙ্গে এত পরিমাণ জল ছাড়ার নজির সাম্প্রতিকালে নেই। যার জন্য বাধ্য হয়ে সেচ দপ্তর সকাল দশটা দশ মিনিট নাগাদ দোমহনি থেকে বাংলাদেশগামী অসংরক্ষিত তিস্তা নদীর দু’পারের এলাকায় লাল সঙ্কেত জারি করে দেয়। হলুদ সঙ্কেত জারি হয় সংরক্ষিত এলাকায়। এদিকে ভোর থেকে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত পেয়ে জেলার পুলিস ও প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে দেয়। প্লাবণ পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনার জন্য, জেলার নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ শুরু হয়। তিস্তা উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে মাইকিং করে সতর্ক করে পুলিস ও প্রশাসন। নন্দনপুর বোয়ালমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহিরচর ছাড়াও নাথুয়ার চর, মৌয়ামারির চর এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিবেকানন্দ পল্লী, সুকান্ত পল্লীতে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। সেখানেও প্রয়োজন মতো মানুষজনকে সরানো হবে। সেই সঙ্গে জেলার তিস্তা উপকূলীয় স্থানেও বিভিন্ন নিচু ও চর এলাকা থেকে সরানো হয়। এদিকে সকাল থেকে পাহাড়ি ঘোলা জল নেমে আসতে থাকার খবর পেয়ে প্রচুর উৎসাহী মানুষ তিস্তা ব্রিজে এসে ভিড় করে। পরে পুলিস তাঁদের সরিয়ে দেয়। জেলা পুলিস তিস্তা ব্রিজে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। হালকা গাড়ি চলাচল করলেও, ভারী যান যাওয়ার ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে।