বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শুক্রবারের মধ্যেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে সৌরঝড়!

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে সৌরঝড়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন খবরে দাবি করা হচ্ছে সূর্যপৃষ্ঠে নাকি এক পেল্লাই গর্তের খোঁজ মিলেছে সেই গর্ত আকারে আমাদের এই সাধের নীলগ্রহের থেকে প্রায় ২০ গুণ বড় সেই গর্ত হয়েই নাকি সৌরঝড় ধেয়ে আসবে পৃথিবীর দিকে আর সেই আশঙ্কা সত্যি হতে পারে শুক্রবারের মধ্যেই বিষয়টির ব্যাখ্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন মহাকাশ ও জলবায়ু পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ড্য়ানিয়েল ভার্সারেন ৷ তিনি জানিয়েছেন প্রতি ঘণ্টায় ১৮ লক্ষ মাইল বেগে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে এই ভূচৌম্বকীয় ঝড় অন্যদিকে ইউএস ন্যাশনাল ওসিয়ানিক অ্য়ান্ড অ্য়াটমস্ফিয়ারিক অ্য়ামিনিস্ট্রেশন বা এনওএএর বিজ্ঞানীর এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন একটি শক্তিশালী ভূচৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে মারাত্মক ব্যাঘাত তৈরি করতে পারে ৷ বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলা সূর্যের এই গর্ত সম্পর্কে ড্য়ানিয়েল আরও জানিয়েছেন এই গর্তটির আকার তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয় ৷ কিন্তু এটির অবস্থান অর্থাৎ সূর্যপৃষ্ঠের যে জায়গায় এই গর্তটি রয়েছে সেটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ৷ এই প্রসঙ্গে ড্যানিয়েলকে বলেন আমি অনুমান করছি চলতি সপ্তাহে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যেই সূর্যের ওই গর্ত থেকে অত্যন্ত দ্রুত গতি সম্পন্ন হাওয়া পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে ৷ প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহেরই প্রথম দিকে প্রথম নাসার নজরে বিষয়টি আসে ৷ তারা জানায় সূর্যপৃষ্ঠে একটি দানবাকার কালো অংশের খোঁজ মিলেছে ৷ পরে জানা যায় সেটি আসলে একটি বিরাট গর্ত মহাকাশ পদার্থবিদ্যার অধ্য়াপক ম্যাথিউ ওয়েন্স এই প্রসঙ্গে বলেন সৌরপৃষ্ঠে এমন গর্তের দেখা পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় ৷ কারণ সূর্য এখন তার ক্রিয়াশীলতার চরম পর্যায়ে রয়েছে ৷ সাধারণত প্রতি ১১ বছর অন্তর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ মাথিউয়ের কথায় এই গর্তটি নিরক্ষরেখায় অবস্থান করছে ৷ তাই একটি বিষয় নিশ্চিত যে কয়েকদিন পরই আমরা পৃথিবীতে কিছু তীব্র হাওয়া অনুভব করতে পারব ৷ তবে এর ফলে বড় কোনও সমস্যা তৈরি হবে কি না সেটা এখনই বলা সম্ভব নয় ৷ “