দেশ

ED Raid : এবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাড়িতে হানা দিল ইডি

এবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ দক্ষিণ দিল্লির ৫/১ শান্তিনিকেতন বিল্ডিংয়ে হাজির হন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল দিল্লি পুলিসও। কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই পদক্ষেপকে ‘অতিসক্রিয়তা’ হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে ইডি-সিবিআইকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। অবিজেপি রাজ্যগুলিতে এজেন্সির হানাদারিতেই তা স্পষ্ট। আর তারই অংশ হিসেবে এবার ইডির ‘নজরবন্দি’ সোরেন। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, সোরেন দিল্লিতেই রয়েছেন বলে খবর মিলেছিল। সেইসূত্রে সোমবার শান্তিনিকেতন বিল্ডিংয়ে হানা দেন আধিকারিকরা। কিন্তু, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। তল্লাশি চালিয়ে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি বিলাসবহুল গাড়িও। ইডির দাবি, বেআইনি টাকায় ওই গাড়ি কেনা হয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোরেনের বাসভবনের বাইরে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন আরও কয়েকজন ইডি অফিসার। তাঁদের হাতে ওই গুরুত্বপূর্ণ নথি সহ একটি ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। এই পদক্ষেপের পর ফের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে সোরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)।ইডি সূত্রে খবর, মোট ৯ বার সমন পাঠানো হয়েছিল সোরেনকে। কিন্তু, কোনওবারই কেন্দ্রীয় এজেন্সির দপ্তরে হাজিরা দেননি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। গত ২০ জানুয়ারি তাঁর রাঁচির বাড়িতে গিয়ে একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তল্লাশিও চলে। সেদিন সব প্রশ্নের জবাব পাননি তদন্তকারীরা। সেকারণে গত সপ্তাহে ফের সমন পাঠানো হয় সোরেনকে। জিজ্ঞাসাবাদ করতে ২৯ বা ৩১ জানুয়ারি সময় চেয়েছিল এজেন্সি। সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও দিনক্ষণ নিয়ে মন্তব্য করেননি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।সূত্রের খবর, আইনি সহায়তা নিতে গত শনিবার রাতে চার্টার্ড বিমানে দিল্লিতে পৌঁছন সোরেন। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ওই সফরের ব্যাপারে কিছু জানে না। অর্থাৎ, ব্যক্তিগতভাবেই রাজধানীতে গিয়েছিলেন তিনি। সোমবারও সোরেন দিল্লিতে রয়েছেন বলে খবর পায় ইডি। তাছাড়া, এদিনই তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল তদন্তকারী সংস্থা। তাই সাতসকালেই মতিলাল নেহরু মার্গে শান্তিনিকেতন বিল্ডিং ও ঝাড়খণ্ড ভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লির বাসভবনে ইডি পৌঁছতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রাঁচি সহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন প্রান্তে। এজেন্সির দপ্তরের সামনে ধর্না কর্মসূচি চালায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) কর্মী-সমর্থকরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক ছিল প্রশাসন। রাজভবন, ইডি দপ্তর, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন অফিস, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবিনাশকুমার জানান, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোরেনের দল জানিয়েছে, সোমবারই রাজ্যে ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ২৯, ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে।