আগরতলায় বাঁধাঘাটের মিলনপল্লিতে দুষ্কৃতী হামলায় নিহত তৃণমূল নেতা মুজিবর-এর কফিনবন্দি দেহ আসতেই এলাকায় শোকের আবহ। চলতি সপ্তাহের বুধবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ পরলোক গমন করেন তিনি। শুক্রবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তার আগে আগরতলার বাঁধাঘাটের মিলনপল্লিতে বাড়িতে দুষ্কৃতি হামলায় নিহত মুজিবরের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শান্তনু সেন। সেই সঙ্গে হাজির হন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক। পরে গিয়ে উপস্থিত হন দুই বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন এবং বরখাস্ত হওয়া আশিস সাহা। সকলেই মৃত মুজিবরের কফিনে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সোনামুড়ায় এই সক্রিয় তৃণমূল নেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তবে তাঁর মৃত্যু একটা বড় ধাক্কা বললেই চলে। গত ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মুজিবরের বাসভবনে একটা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, ওই দিন বেশ কয়েকজন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতি মুজিবরের বাড়িতে এসে তাঁর ওপর চড়াও হয়। আর তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। মুজিবরকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আনা হয় কলকাতার এসএসকেএম-এ। সেখানকার চিকিৎসকরা মুজিবরকে অস্ত্রপচারের পরামর্শদেন। তবে রক্তে শর্করার পরিমান কম থাকায় সেই সময় অস্ত্রোপচার করা যায়নি। এরপর শর্করার পরিমান বাড়লে আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাঁকে অস্ত্রোপচারের জন্য ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচারও সম্পন্ন হয়। তবে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই মৃত্যু হয় মুজিবরের। সোনামুড়ায় হবে তাঁর শেষকৃত্য।


