জেলা রাজনীতি

‘গরু পাচারে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে শুভেন্দু’, দাবি হুমায়ুন কবীরের

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ৷ লালগোলা থানার তারানগরে ভাঙন বিদ্ধস্ত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিলি করতে এসে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ তুললেন তিনি ৷ শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সীমান্তে সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসারদের সহযোগিতায় হাজার হাজার গরুপাচার হয়েছে ৷ কোটি কোটি টাকা রাতারাতি তোলা হয়েছে ৷ তখন এই বিরোধী দলনেতা তাঁর ভাগ ঠিক করে বুঝে নিয়েছেন ৷ তিনি এই মুর্শিদাবাদ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছেন ৷ আমরা মুর্শিদাবাদের মানুষ যদি সরব হই, তখন দেখবেন সবাই ছুটবে ৷” তৃণমূল বিধায়ক বিরোধী দলনেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমার সঙ্গে পাঙ্গা নিতে এলে ফল ভালো হবে না ৷” পদ্ম নদীর গর্ভে তলিয়ে যাওয়া লালগোলার তারানগর পরিদর্শন করতে আসেন হুমায়ুন কবীর ৷ পাশাপাশি দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন ভরতপুর বিধানসভার বিধায়ক ৷ এদিন ত্রাণ বিতরণ সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি ৷বক্তৃতা করতে গিয়ে হুমায়ুন বলেন, “আমি হুমায়ুন কবীর ৷ সোজা কথা সোজা ভাবে বলি ৷ কেউ আঙুল বেঁকালে আমারও আঙুল বেঁকাতে এক সেকেন্ড সময় লাগবে না ৷ আমার সঙ্গে পঙ্গা নিতে আসবেন না ৷” এছাড়া বহরমপুর লোকসভার সাংসদ ইউসুফ পাঠান ও জঙ্গিপুর লোকসভার সাংসদ খলিলুর রহমানকে নিশানা করে তিনি বলেন, “2029 সালের লোকসভা ভোটে দেখা যাবে কার কাকে প্রয়োজন পড়ে ৷ লোকসভা ভোটে কীভাবে জবাব দিতে হয়, আমি জানি ৷” নাম না-করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল নেতা ৷ হুমায়ূনের কথায়, “আমি কিছু বললে বিতর্কের সৃষ্টি হয় ৷ আমার নামের পাশেই বিতর্ক শব্দটি জড়িয়ে রয়েছে ৷” তারানগরের পদ্মা ভাঙনের স্থায়ী সমাধান না হওয়ার জন্য তিনি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারকে দায়ী না করে মুর্শিদাবাদ জেলার জন প্রতিনিধিদের দায়ী করেন ৷ তিনি বলেন, “এখানে আমরা 22 জন বিধায়ক ও তিন জন সাংসদ রয়েছি ৷ আমরা সোচ্চার না-হলে এই সমস্যার সমাধান হবে না ৷ যেভাবে দিঘার সমুদ্র সৈকতে ভাঙন রোধ করা হয়েছে, তেমনই মুর্শিদাবাদের ভাঙনেও ঢালাই দিয়ে রোধ করা যাবে ৷”