জেলা

দুর্গাপুর ধর্ষণ-কান্ডে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ছাড়া হল হাসপাতাল থেকে

ছাত্রী ও তাঁর সহপাঠীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেললে ওই দু’জনকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে ওই তিনজন

 বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারির পড়ুয়া, যাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল৷ বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ আপাতত তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে৷ এদিকে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ঠিক কী কী তথ্য পাওয়া গেল, এই নিয়ে এখনও পুরোপুরি মুখ খুলতে নারাজ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ৷ শুক্রবার ঘটনাস্থলে ফের যায় ফরেনসিক টিম৷ আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করে তারা৷ উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গত শুক্রবার রাতে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ সেই রাতেই অভিযোগ দায়ের হয়৷ তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ অন্যদিকে যে মেডিক্যাল কলেজে ওই ছাত্রী পড়েন, সেখানকার হাসপাতালেই তাঁকে ভর্তি করা হয়৷ সেখানেই তিনি এই ক’দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ শুক্রবার বিকেলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷এই নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের তরফে৷ সেখানে জানানো হয়েছে, ধর্ষিতা পড়ুয়ার শারীরিক ও মানসিক দিকে খোঁজ রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যালোচনার পর নির্যাতিতা পড়ুয়াকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে ঘটনার আটদিন পর শুক্রবার পরানগঞ্জের জঙ্গলে ফের যায় ফরেনসিক টিম৷ এই নিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, “নতুন করে কিছু নয়। ছ’জনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর তাদের জেরা করে আরও যে বাড়তি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তার ভিত্তিতেই নতুন করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সেখানে যাওয়াটা জরুরি ছিল।” এদিকে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যে জঙ্গল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে, সেখানে প্রথমে গিয়েছিলেন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী এবং তাঁর সহপাঠী৷ সেখানে পরে আসে পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে তিনজন৷ ওই তিনজন সেখানে এসে ওই ছাত্রী ও তাঁর সহপাঠীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে৷ সেই কারণেই ওই দু’জনকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে ওই তিনজন৷ টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়৷ তখন টাকা আনতেই মেয়েটির সহপাঠী কলেজ হস্টেলে চলে আসে৷ অভিযোগ, সেই সময় ওই তিনজনের সঙ্গে মেয়েটি ছিল জঙ্গলে৷ সেই সময়ই মেয়েটিকে তিনজনের মধ্যে একজন ধর্ষণ করে৷ ওই ছেলেগুলি বাইকে এসেছিল৷ ফলে দ্রুত তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়৷ যাওয়ার সময় মেয়েটির মোবাইল নিয়ে চলে যায়৷ এছাড়া আরও দু’জন এসেছিল ঘটনাস্থলে৷ তারা কীভাবে এসেছিল? সাইকেলে নাকি গাড়িতে? আপাতত সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ সেই কারণে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফের নমুনা সংগ্রহ করল ফরেনসিক টিম৷ এদিকে অভিযুক্তদের বাইকগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷