আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে সরকার ৷ তাই দক্ষিণ কলকাতার কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ইস্যুতে সরকারের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য শশী পাঁজা ৷ সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবককে দ্রুত গ্রেফতারির জন্য কলকাতা পুলিশকে বাহবা দিয়েছেন মন্ত্রী ৷ একই সঙ্গে এই ইস্যুতে বিরোধীদের অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ৷ রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, “ঘটনাটি জানতে পারার 12 ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে ৷ অত্যাচারিতা ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে ৷ তিনি ধৃত তিন যুবককে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন ৷ ধৃতদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ অর্থাৎ সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন হয়েছে ৷ আমরা মেয়েটি ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে রয়েছি ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে ৷ আমরা চাই, মেয়েটি ন্যায্য বিচার পাক ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আবার রাজনীতি ঢোকানোর চেষ্টা চলবে ৷ যারা রাজনৈতিকভাবে এরাজ্যে দেউলিয়া, সেই দলগুলি এই ঘটনাকে সামনে রেখে রাজনীতি করতে চলে এসেছে ৷ আমরা তাঁদের বলব, অত্যাচারিতা মেয়েরা যাতে ন্যায্য বিচার পান, তার জন্য অপরাজিতা বিলকে সমর্থন করে আইনে লাগু করতে সহায়তা করুন ৷ এটা মানুষেরও দাবি ৷ ন্যায্য দাবি থাকলে আপনারা রাস্তায় বাঁদরামো করবেন না ৷ কোনও রাজ্যে এমন ঘটনা ক’টা ঘটেছে, তা নিয়ে রাজনীতি হয় না ৷ আর মেয়েদের শরীর নিয়েও রাজনীতি হয় না ৷ কোনও অত্যাচারিতা মেয়ের কাছে সঙ্গে সঙ্গে ন্যায়বিচার পৌঁছোনো উচিত ৷” রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, “এমন ঘটনা ঘটলেই আলোচনায় চলে আসে কোন রাজ্য কতটা কঠোর ৷ সেই উদাহরণ দিতে গেলে চারটি ঘটনার উল্লেখ করতে হয় ৷ 2024 সালে কুলতলি, গুড়াপ, বটতলা ও মুর্শিদাবাদে এমন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে ৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতার, তদন্ত, বিচার, এমনকি শাস্তির ঘোষণা পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকদিনের মধ্যে হয়ে গিয়েছে ৷ এতেই প্রমাণিত, এসব ঘটনায় বাংলার সরকার কতটা কঠোর ৷ দুর্ভাগ্যের বিষয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার 71 জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সিরিয়াস ক্রিমিনাল কেস রয়েছে ৷ তার মধ্যে 19 জন মহিলাদের শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত ৷ তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার কী বার্তা দিল ? তবে এখনও বলছি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি জড়ানো উচিত নয় ৷”


