সোমবার কোচবিহার জেলার পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে সার্কিট হাউস থেকে পায়ে হেঁটে জনসংযোগ সারতে সারতে কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। রাসমেলা মাঠে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কোচবিহারের নারায়ণী ব্যাটালিয়ন।কোচবিহারে শাসক দলের নজরে রাজবংশী ভোট। এদিন সেদিকে শুরু থেকেই নজর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৩৪ বছরের বাম শাসনে কোচবিহার ছিল অবহেলিত। আর গত কয়েক বছর তৃণমূল সরকারের আমলে কোচবিহারের জন্য কিছু করতে বাকী রাখেনি তৃণমূল সরকার। সোমবার কোচবিহারে সরকারি পরিষেবা প্রদান ও একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্য়াস অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দণ্ডবৎ করে বলছি। রাজবংশী স্কুল অনেক ছিল । তারা রাজ্যের মাইনে পেত না। আজ থেকে ২০০ স্কুলকে সরকারি স্বীকৃতি দিলাম। ওনারা সরকারি মাইনে ও সুবিধা পাবেন। আমি ভাঙি না। আমি গড়ি। আমি নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন করে দিয়েছি। এর হেডকোয়ার্টার হচ্ছে মেখলীগঞ্জে। বিএসএফের অত্যাচারে মানুষ অত্যচারিত। ওরা সীমান্ত এলাকায় আলাদা পরিচয় পত্র দিতে চাইছে। ওই পরিচয় পত্র নিলে এন আর সি’তে পড়ে যাবেন। বলবেন আপনার আধার, রেশন কার্ড আছে। বিপদে পড়লে আমি আছি। আমি বাঘের বাচ্চার মতো আছি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এও বলেন, এই যে আগেরবারে বিজেপির সাংসদ এখান থেকে জিতেছে, কী করেছে? কিছুই করেনি। আমি করে দিলাম এয়ারপোর্ট। আর বাবু প্লেনে চড়ে এসে বলছে আমি করেছি। যখন রেল মন্ত্রী ছিলাম তখন কোচবিহারের নতুন রেল স্টেশন কে করেছিল? যোগীগোপা ময়নাগুড়ি ভায়া কোচবিহারে লাইন কে করেছিল? চাংড়াবান্ধা, মালবাজার, জলপাইগুড়ি স্টেশন করেছিল? এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলবে? এরা তো একটা ঘাস পুঁতেও দেখায়নি। গত লোকসভা ভোটে বিজেপি নেতাদের মুখে ছিল মানুষের ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার কথা। এনিয়ে মমতা বলেন, দেখবেন এরা টিভিতে বলছে আমরা ঘর ঘর জল পৌঁছে দিয়েছি। আপনারা কত টাকা দিয়েছেন? মাত্র ২৫ শতাংশ। বাকী ৭৫ শতাংশ আমরা দিয়েছি। তাহলে দিলটা কে বেশি? জমি নিনে দিচ্ছি, দেখভাল করছি আমরা, তৈরি করছি আমরা আর দালালি করে টিভিতে বিজ্ঞাপণ দিয়ে বলছে আমরা করছি। আমাদের বাবা-মা শিখিয়েছে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। আমি তপসিলি মেয়েদের সঙ্গে নেচেছি। ওদের সঙ্গে মিশেছি। আমাদের শেখাতে হয় না। আমাদের হাতের ৫টি আঙুল আছে। কোনওটা ছোট, কোনওটা বড়। একশো জনের মধ্যে ৫ জন যদি খারাপ কাজ করে তাহলে তার দায় দল নেবে না। আইন আইনের পথে চলবে। আমি যাচ্ছি রাস্তা দিয়ে, বলছে চোর চোর। এতবড় সাহস! ডাকাতের ডাকাত ওরা। ভারতকে লুট করেছে, বাংলাকে লুট করেছে। কারও পয়সায় চা পর্যন্ত খাই না। মিথ্যে কথা বলার জন্য় জিভ খসে পড়বে।


