কলকাতা

বিজেপির বঙ্গভঙ্গ চক্রান্ত রুখতে বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে তৃণমূল

রাজ্যভাগ নিয়ে বিজেপির দু’মুখো নীতি প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। তাদের পক্ষ থেকে বিধানসভার অধিবেশনে আনা হচ্ছে বঙ্গভঙ্গ চক্রান্ত বিরোধী প্রস্তাব। এর উপর আলোচনা হবে বিধানসভায়। সব মিলিয়ে বছরের প্রথম অধিবেশনেই রাজ্যভাগপন্থী বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়া করতে চলেছে তৃণমূল। আজ, বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। সূচনায় ভাষণ দেবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তারপর পড়া হবে শোকপ্রস্তাব। রাজ্যপালের বক্তব্যে গুরুত্ব পাবে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা। সরস্বতী পুজোর দিন হাতেখড়ি এবং বাংলায় বক্তৃতা করেন নতুন রাজ্যপাল। আজ বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের মধ্যে বাংলায় কোনও বিবৃতি পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সকলের। রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সুসম্পর্কের ছবি বারবার সামনে এসেছে। স্বভাবতই তাতে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপি শিবিরের। এমনকী, বিজেপি নেতাদের একাংশ প্রকাশ্যেই নিন্দা করেছেন রাজ্যপালের এই ভূমিকার। তাই রাজ্যপালের ভাষণের সময় অধিবেশন কক্ষে বিজেপির ভূমিকা এবার কী হয়, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবার বিধানসভায় সর্বদল এবং কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। অন্যদিকে, রাজ্যপালের ভাষণ দলীয় বিধায়কদের মন দিয়ে শোনারই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের পরিষদীয় নেতৃত্ব। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণ সব দলের সাংসদরা গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন। সেখানে কোনওরকম হই-হট্টগোলের ছবি সামনে আসেনি। বিধানসভাতেও অনুরূপ ছবি দেখতে চান অধ্যক্ষ। এবারের অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ হল বঙ্গভঙ্গ চক্রান্ত বিরোধী প্রস্তাব আনা। ১৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ে আলোচনা হবে। পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি নেতারা বাংলাভাগের পক্ষে লাগাতার আওয়াজ তুলছেন। উত্তরবঙ্গকে ভাগ করে আলাদা রাজ্য তৈরির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু আমরা বাংলাভাগের বিপক্ষে। তাই একটি প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এছাড়া আসছে সারি ও সারনা ধর্মের স্বীকৃতি নিয়েও একটি প্রস্তাব। এছাড়াও তৃণমূল সূত্রে খবর, আজ উত্তরবঙ্গের ৬ জেলার দলীয় নেতারা একযোগে সরব হতে চলেছেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অধিবেশন পর্ব নেই। শুক্রবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা হবে। আগামী কাল, বৃহস্পতিবার রাজ্যব্যাপী সুবিধাপ্রদান কর্মসূচি রয়েছে সরকারের।