কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ট্যুইট করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে এবং নয়া গাইডলাইন দিতে চলেছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছিলেন। শুক্রবার অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউজিসি তরফে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কবে থেকে শুরু, পঠন পাঠনের ক্ষতি রুখতে কিভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে বিস্তারিত গাইড লাইন জারি করা হল। ইউজিসির তরফে তিন পাতার গাইডলাইনে জানানো হয়েছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ এবং ২০২১‐২২ শিক্ষাবর্ষের পঠন-পাঠনের ক্ষতি আটকাতে প্রয়োজন হলে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস নিতে হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। শুধু তাই নয়, কাটছাঁট করতে হবে এককালীন ছুটিগুলিকেও। UGC নির্দেশিকা জানানো হয়েছে, যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে পারবে না বা পয়লা নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরু করতে পারবে না।
🔵 যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া প্রবেশিকা পরীক্ষা বা বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে পড়েন তাদের সেই প্রক্রিয়া এখনো শেষ না হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষাবর্ষ শুরু করে দিতে পারে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। সে ক্ষেত্রে প্রভিশনাল অ্যাডমিশন করে রাখতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি গ্রহণ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে গাইডলাইনে।
🔵 প্রবেশিকা বা মেধাভিত্তিক ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া প্রথম বর্ষের অক্টোবর মধ্যেই শেষ করতে হবে। পড়ে থাকা আসনগুলিতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই তা পূরণ করে নিতে হবে।
🔵 ইউজিসির গাইডলাইনে জানানো হয়েছে পয়লা নভেম্বর থেকে প্রথম সেমিস্টার বা প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করতে হবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের। সে ক্ষেত্রে যদি ফল প্রকাশে দেরী হয় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেক্ষেত্রে তারা ১৮ নভেম্বর এর পর থেকে ক্লাস শুরু করতে পারে। যদিও এর মধ্যে অনলাইন বা অনলাইন অফলাইন মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার প্রক্রিয়া জারি রাখতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
🔵 প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়কে সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস নেওয়ার পদ্ধতি চালু করতে হবে অন্তত ২০২০-২১ অর্থাৎ চলতি শিক্ষাবর্ষ এবং ২০২১-২২ অর্থাৎ আগামী শিক্ষাবর্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যাতে পঠন-পাঠনে যা ক্ষতি হয়েছে গত কয়েক মাস তা পূরণ করা যায়।
🔵 বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল বা ক্যান্সেল হচ্ছে সেক্ষেত্রে তাদের পুরো টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
🔵 ইউজিসি গাইডলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বর্তমান শিক্ষাবর্ষের বা আগামী শিক্ষাবর্ষ গুলিতে পঠন-পাঠনের যে ক্ষতি হবে তা যেন পূরণ করে দেওয়া হয় এককালীন ছুটি বা বিভিন্ন ছুটি গুলিতে কাটছাঁট করে তাহলে চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ডিগ্রী সময় মাফিক দেওয়া যাবে।
🔵 ইউজিসি তরফে গত ২৯ এপ্রিল এবং ৬ জুলাই স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত যে গাইডলাইন জারি করা হয়েছিল কিভাবে পড়ানো হবে বা কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেই সংক্রান্ত গাইডলাইনের কোন পরিবর্তন করা হচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে।
🔵 বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই গাইডলাইন গুলিকে গ্রহণ করে প্রয়োজন মনে করলে তাদের আইনে কোন সংশোধন করতে পারে বা কোন পরিবর্তন করতে পারে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে। শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যদি থাকে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে কোন সমস্যা তৈরি হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাহলে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া বদল করতেই পারে।