বিদেশ

 ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান এখনই বন্ধ করছে না রাশিয়া, পুতিনের বার্তায় অখুশি ট্রাম্প

 ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলতে থাকা সামরিক অভিযান এখনই বন্ধ করছে না রাশিয়া ৷ কূটনৈতিক সমাধানের আশা করলেও সমস্ত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না ৷ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোনে এ কথাই জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৷ অন্যদিকে, রাশিয়ার ভূমিকায় তিনি যে খুশি নন তাও স্পষ্ট জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, দু দেশের মধ্যে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা সংঘাত শেষ করতে এদিন তিনি কোনও ইতিবাচক ভূমিকা নিতে পারেননি ৷ এদিন দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা হয় ৷ সেখানে ট্রাম্পের তরফ থেকে আসা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পুতিন খারিজ করেছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনে বিদেশ-নীতি বিশেষজ্ঞ ইউরি উসনভ ৷ তিনি জানান, পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে চলতে থাকা সামরিক সংঘাত শেষ করতে কূটনৈতিক সমাধানের পথে হাঁটতে চায় রাশিযা ৷ কিন্তু লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সামরিক সংঘাত সম্পূর্ণ বন্ধ হবে না ৷ সংঘাত বন্ধ করার ব্যাপারে রাশিয়া খানিকটা কঠোর মনোভাব নিলেও রাজনৈতিক সমাধানের পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছে না-এমন কথাও বলেছেন পুতিন ৷ পাল্টা ট্রাম্প পুতিনকে আর্জি জানান, যাতে পরিস্থিতি এর থেকে বেশি খারাপ না হয় ৷ পুতিনের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমাদের মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ ফোনে কথা হয়েছে ৷ আমরা অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছি ৷ ইরানের পাশাপাশি ইউক্রেন নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে ৷ ইউক্রেনের ব্যাপারে রাশিয়ার ভূমিকায় আমি খুশি নই ৷ পুতিনের সঙ্গে এই আলোচনায় শান্তি স্থাপনের দিকে আমি সামান্য অগ্রসরও হতে পারিনি ৷ ” ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর দুই নেতার মধ্য়ে এ নিয়ে ছ’বার কথা হল ৷ 4 জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস ৷ পুতিন ট্রাম্পকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ৷ পাশাপাশি আমেরিকার স্বাধীনতার নেপথ্যে রাশিয়ার কী ভূমিকা ছিল সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, “মার্কিন বিদ্রোহের সময় রাশিয়ার সম্রাট দ্বিতীয় ক্যাথরিন বিট্রেনের দেওয়া কূটনৈতিক সমাধানের প্রস্তাবে হাঁটেননি ৷ রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে উত্তর আমেরিকায় পাঠানোর প্রস্তাব এসেছিল ৷ সেটাও তিনি খারিজ করেছেন ৷ এভাবেই আমেরিকাকর স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজেদের অবদান রেখেছিল রাশিয়া ৷ ” অন্যদিকে, সামরিক সংঘাত ছাড়াও দুই নেতার মধ্যে পশ্চিম এশিয়ার উন্নয়ন নিয়েও চর্চা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ আগামিদিনে পশ্চিম এশিয়ার সামগ্রিক উন্নয়নকে তরান্বিত করতে কী কী ধরনের পদক্ষেপ করা দরকার তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন দুই নেতা ৷