এবার দলবদলুদের আর দলে জায়গা দেবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গভোটের নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে পারদ চড়তে শুরুই করেছিল একদা তৃণমূল নেত্রীর ‘একনিষ্ঠ সৈনিক’ শুভেন্দু অধিকারীর পদ্মফুলে যোগদানের পর থেকে। তার পর আরও অনেক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ পা বাড়িয়েছেন বিজেপির পথে। তা নিয়েই সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গদ্দার’দের ক্ষমা করবেন না তিনি। এদিন মিনার্ভা থিয়েটারে ভার্চুয়াল সভা ছিল মমতার। সেই সভা মঞ্চ থেকেই তিনি জানিয়ে দেন, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, যেসব গদ্দার আর মীরজাফর বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের জন্য দলের দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ। শুভেন্দুর দলবদলের পরই নন্দীগ্রামে গিয়ে মমতা ঘোষণা করেন, ‘আন্দোলন-ভূমি’র প্রার্থী হবেন তিনি। তার পর জল্পনা অনুযায়ী শুভেন্দুকেই নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী করে বিজেপি। যা একুশের লড়াইয়ে অন্য মাত্রা যোগ করে। সেই থেকেই গোটা দেশের নজর নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের দিকে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, অন্যদিকে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তাঁরই সহকর্মী শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দুর নাম না করে মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রামে ১০টা বুথে ওরা রিগিং করেছে। তাই ওই দশটা বুথেই শুধু ফল খারাপ হতে পারে। কিন্তু বাকি সব বুথে ধপাস ধপাস করে পড়বে ওরা।’ ২০১১ সালে প্রথমবার ‘বদলা নয়, বদল চাই’ স্লোগান তুলে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমিই এক সময় বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু এখন আমি বলছি বদল নয়। কারণ আমাদের সরকারই থাকছে ক্ষমতায়। তবে বিজেপির সঙ্গে কী করতে হবে, সেটা আমরা দেখে নেব। আমি আজ বলে রাখছি, মা মাটি মানুষের সরকার একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়বে।’