ক্রাইম

ফের উত্তরপ্রদেশে নৃশংস ভাবে গণধর্ষণের পর খুন তরুণী

বেশকিছুদিন ধরেই বিতর্কের মুখে পড়েছে যোগীরাজ্য। পুলিসের সামনেই গুলি করে খুন করা হয় আতিফ ও আতিককে। নারকীয় গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল দলিত তরুণীকে। হাথরাস ও উন্নাওয়ের ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছিল দেশ জুড়ে। আর এখন সেই তালিকায় নাম লেখাল ফতেহপুর। ফের নারকীয় গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের খবর সামনে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরে অর্ধনগ্ন এক তরুণীর দেহ মাঝরাস্তায় ফেলে গিয়েছিল কিছু দুষ্কৃতী। বুধবার ১২ এপ্রিল, ফতেহপুরের বাবা কুটি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা ওই তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ দেখতে পান। পরে পুলিস তাঁর দেহ উদ্ধার করে অটোপ্সির জন্য পাঠায়। অজ্ঞাত পরিচয় ওই তরুণীর মৃত্যুতে মামলা রুজু করে পুলিস। তাঁর অটোপ্সি রিপোর্টে জানা গিয়েছে মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। দেহে মিলেছে একাধিক ক্ষত ও আঘাতের চিহ্নও। অটোপ্সি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়েছিল তাঁর। ওই আঘাতের ফলে ও শ্বাসরোধের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। শুধু তাই নয়, মাথার গুরুতর আঘাত ছাড়াও সারা দেহে মোট বারোটি গুরুতর আঘাত ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিস। মাথায় চোটের সঙ্গে মুখে, গলায়, বক্ষদেশে ও গোপনাঙ্গে সেই চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। অটোপ্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন ছাড়াও ওই তরুণীর সারা দেহে কামড়, আঁচড় ও সিগারেটের ছ্যাঁকার পোড়া দাগ পাওয়া গিয়েছে। তরুণীর কোনও পরিচয় না মেলায় পুলিস তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁর খোঁজ চালাতে শুরু করে। ফতেহপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানিয়েছেন, ১১ এপ্রিল রাতে একটি কালো রঙের গাড়ি কে বাবা কুটি-র সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। কিছুক্ষণ পরে তা চলেও যায়। যদিও গাড়িতে কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা লক্ষ্য করেননি তাঁরা। পরে ফতেহপুরের পাশের এলাকাগুলিতেও খোঁজ শুরু করে তারা। এখনও পর্যন্ত ফতেহপুরের পাশের তিনটি জেলা বান্দা,হামিরপুর ও কানপুর দেহাতে খোঁজ খবর চালায় পুলিস। ওই এলাকাগুলিতে বিগত কিছু দিনের মধ্যে কোনও তরুণী নিখোঁজ হয়েছেন কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিস।