বিনোদন

প্রয়াত বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রয়াত বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায়। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন প্রবীণ এই সাহিত্যিক। এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলেই জানা যায়। তার প্রবল শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ছিল। ক্রমশ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ জুন মাসের এক বৃষ্টিমুখর দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ‘কেয়া পাতার নৌকো’র স্রষ্ঠা। সাহিত্যিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “বর্ষীয়ান কথাসাহিত্যিক প্রফুল্ল রায়ের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক জ্ঞাপন করছি। প্রফুল্ল রায় জন্মেছিলেন পূর্ববঙ্গে এবং পরবর্তীকালে তাঁর নানা বিখ্যাত গ্রন্থে উদ্বাস্তু জীবনের যন্ত্রণা ফুটে উঠেছিল। ‘কেয়াপাতার নৌকো’ তাঁর কালজয়ী উপন্যাস। নানাসময়ে একাধিক সংবাদপত্র-পত্রিকা গোষ্ঠীর সঙ্গেও তিনি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন এবং বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় স্থায়ী জায়গা পেয়েছেন। ২০১২ সালে আমরা তাঁকে একটি বিশেষ পুরষ্কার দিতে পেরেছিলাম। আমি তাঁর পরিবার ও অগণিত পাঠকের প্রতি আমার সমবেদনা নিবেদন করছি।” তাঁর গল্প-উপন্যাস অবলম্বনে একাধিক টেলিফিল্ম, ধারাবাহিক, সিনেমা তৈরি হয়েছে ৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘পিঞ্জর’ (1971), ‘বাঘবন্দী খেলা’ (1975), ‘মোহনার দিকে’ (1984), ‘আদমি অউর অউরত’ (1984), ‘একান্ত আপন'(1987), ‘চরাচর'(1994), ‘টার্গেট’ (1997), ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ (2003), ‘ক্রান্তিকাল’ (2005), কেয়া পাতার নৌকো ইত্যাদি ৷ তাঁর প্রথম উপন্যাস ছিল ‘পূর্ব পার্বতী’, যা নাগাল্যান্ডে বসে তিনি লিখেছিলেন ৷ 1957 সালে তা প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তার উদ্বাস্তু জীবনকেন্দ্রিক যে সমস্ত উপন্যাস রচিত আছে সেগুলি হলো ‘কেয়া পাতার নৌকো’ (2003), ‘শতধারায় বয়ে যায়’ (2008), ‘উত্তাল সময়ের ইতিকথা’ (2014), ‘নোনা জল মিঠে মাটি’ ইত্যাদি। ‘কেয়াপাতার নৌকা’, ‘শতধারায় বয়ে যায়’, ‘উত্তাল সময়ের ইতিকথা’ আকারে এবং নামে আলাদা হলেও আসলে তিনটি উপন্যাস মিলেই ত্রয়ী উপন্যাস।জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায় ।