দেশ

মহারাষ্ট্র মামলার রায় আগামীকাল সাড়ে ১০ টায়, দ্রুত আস্থাভোটের দাবি বিরোধী জোটের

আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় মহারাষ্ট্র মামলায় রায় দেবে বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও অশোক ভূষণের ডিভিশন বেঞ্চে।
দেবেন্দ্র ফড়নবিশের পক্ষে রয়েছে মোট ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন। আর তা দেখেই ফড়নবিশকে সরকার গঠনের আমন্ত্রন জানান রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। রাজ্যপালের সরকার গড়তে আমন্ত্রন জানানোর সেই চিঠিই আদালতে তুলে দিয়ে জানালেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বিজেপির পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে ১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। এ পরেও রাজ্যপালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা যায় কি? সবকিছু খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। উনি আস্থাভোটের জন্য যে দিন স্থির করেছেন, সে দিনই আস্থাভোট হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আদালতের নাক গলানোর উচিত নয়।’ আদালতে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী জোটের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বাল। তিনি বলেন, ‘‌রাজ্যপাল ২০ দিন ধৈর্য ধরে ছিলেন। তাহলে আর মাত্র ২৪ ঘন্টা ধৈর্য রাখতে পারলেন না?‌ কী এমন জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছিল মহারাষ্ট্রে যে ভোট ৫টা ১৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হল?‌’‌ আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‌বিরোধী জোটের কাছে ৪৮ জন এনসিপি, ৫৬ জন শিবসেনা এবং ৪৪ জন কংগ্রেস বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। সপক্ষে কাগজপত্রও রয়েছে। খুব দ্রুত মহারাষ্ট্রে আস্থাভোট হওয়া প্রয়োজন।’‌ এদিন শীর্ষ আদালতে শুনানি শুরু হওয়ার পরেই খবর পাওয়া গেছে, আরও চারজন এনসিপি বিধায়ক যাঁরা সরকার গঠনের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন, তাঁরা সোমবার সকালেই শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেছেন। অর্থাত্‍ একের পর এক এনসিপি বিধায়ক হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির। প্রবল চাপে আছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ-অজিত পাওয়ার।