দেশ

সেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের জোট ১৬২ বিধায়ক নিয়ে শক্তি প্রদর্শন

তিন দলের ১৬২ বিধায়ককে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাজির

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল, আপনি আসুন এবং নিজেই দেখে যানঃ সঞ্জয় রাউত

দেবেন্দ্রফডণবীস-অজিত পওয়ার শিবির নাকি শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট কার হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে? এই প্রশ্নে যখন মহারাষ্ট্রে রাজনীতি জেরবার। তখনই নয়া চাল বিরোধী দিল শিবিরের। তিন দলের ১৬২ বিধায়ককে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাজির করে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখালেন জোট নেতৃত্ব। কংগ্রেস বিধায়করা ছিলেন জুহুর জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে। পোয়াই এলাকার রেনেসাঁ হোটেলে দলীয় বিধায়কদের রেখেছিল এনসিপি। শিবসেনা তাদের বিধায়কদের তুলেছিল ললিত হোটেলে। সোমবার সন্ধ্যায় এই তিন হোটেল থেকে বাসে করে গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে আসেন তিন দলের বিধায়করা। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হন তাঁরা। হাজির ছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার এবং শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেও। কংগ্রেসের পক্ষে

ছিলেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, পৃথ্বীরাজ চহ্বাণের মতো নেতারা। এতে সাংবিধানিক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ না হলেও তিন দলের নেতারা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, সরকার গঠনের চাবিকাঠি তাঁদের হাতেই রয়েছে। অর্থাত্‍ ২৮৮ আসনের বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে। একই সঙ্গে দেখিয়ে দিতে চাইলেন যে, ফডণবীস-অজিত জুটির হাতে সংখ্যা নেই। পাটিগণিতের নিয়মেই বিরোধী জোটের হাতে যদি ১৬২ জন থাকে, তা হলে উল্টো শিবিরে বিধায়ক সংখ্যা হয় ১২৬, যা ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে ১৯ জন কম। তার আগেই অবশ্য টুইটারে ঘোষণাও করে দিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউত। রাজ্যপালের উদ্দেশে লিখেছিলেন, ”আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ১৬২ জন বিধায়ক গ্র্যান্ড হায়াতে সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম বার একসঙ্গে হাজির হবেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল, আপনি আসুন এবং নিজেই দেখে যান।” এদিন শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের প্রতি সত্‍ থাকার শপথ নিলেন ১৬২ জন বিধায়ক। সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সামনে শপথবাক্যে তাঁরা বলেন, ‘আমি এনসিপি-সেনা-কংগ্রেস জোটের প্রতি সত্‍ থাকব। আমি কোনও দলবিরোধী কাজ করব না। আমি কখনও আমার বিধানসভা এলাকা ও আমার পার্টির বিরুদ্ধে কোনও কাজ করব না।’