রাজ্যজুড়ে উৎসবে আমেজ। আজ, বৃহস্পতিবার পঞ্চমী। পুজোকে সামনে রেখে এবছর জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়েছেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে ‘পুজোর উপহার’ তুলে দিচ্ছেন তিনি। এদিকে পুজোর আগে বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে ‘বঞ্চিত’ নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সঙ্গে শাসকদলের সাংসদ-বিধায়করাও। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে কৃষিকভবনে ধরনায় বসেছিলেন তাঁরা। সাতগাছিয়ায় পুজো জনসংযোগ কর্মসূচিতে অভিষেক বলেন, ‘আপনাদের আর্শীবাদ চাই, যাতে দিল্লির বুকে লড়াই দ্বিগুণ করতে পারি। এত চেষ্টা করেও মোদী সরকার আমার মেরদণ্ড বাঁকাতে পারেনি। ইডি-সিবিআই লাগিয়েছিল, পারিনি। আত্মসমপর্ণ করিনি, করবও না’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘বাংলায় হেরেছে বলে গায়ে এত জ্বালা!বাংলা খাবে না, তাও ঠিক আছে। কিন্তু মাথা নত করবে না। ইডি-সিবিআই লাগিয়ে জব্দ করতে চাইছে। ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। দল তত শক্তিশালী হবে’। দীর্ঘদিন সাতগাছিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন জ্যোতি বসু। অভিষেকের প্রশ্ন, ‘এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন জ্যোতি বসু। ২৪ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কী কাজ করেছেন আপনাদের জন্য’? তাঁর আরও বক্তব্য, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন আটকাতে বিরোধীরা কোর্টে গিয়েছিল। ভারতবর্ষের নজিরবিহীন, বিরোধীরা দেড় লক্ষ মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। তারপরেও ৮০ শতাংশ আসনে জিতেছে তৃণমূল’। তগাছিয়ায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে অভিষেক বললেন, ‘আমরা রাজ্য সরকারে আসার পর পুজো অন্যমাত্রা পেয়েছে। এখন মহালয়া থেকেই পুজো শুরু হয়ে যাচ্ছে’।