এক যুগ বাদে বিশ্বকাপের আসরে জয়ের মুখ দেখল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রথম গোল করে এগিয়ে থাকলেও ৪-১ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল গ্রাহাম আর্নল্ডের দলকে। কিন্তু শনিবার মরণ-বাঁচন ম্যাচে তিউনিশিয়াকে এক গোলে হারিয়ে শুধু তিন পয়েন্ট ঘরেই তুললেন না ম্যাকলারেন, মিচেল ডিউকরা। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশাও জিইয়ে রাখলেন। উল্টোদিকে এদিন অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে চাপে পড়ে গেল তিউনিশিয়া। এদিন আল ওয়াকরার আল জানোব স্টেডিয়ামে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া ও তিউনিসিয়ার খেলোয়াড়রা। তবে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষককে টেক্কা দিতে থাকেন মিচেল ডিউকরা। রক্ষণকে দুর্ভেদ্য দুর্গ হিসেবে গড়ে রেখে আক্রমণ শানাতে থাকেন গ্রাহাম আর্নল্ডের ছেলেরা।একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে তিউনিশিয়ার গোল রক্ষ করে। কিন্তু রক্ষণ ভাঙা সম্ভব হয়নি। আচমকাই ১৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ শানায় তিউনিশিয়া। ডি-বক্সে ভাল জায়গায় বল পেয়েছিলেন ইউসেফ মাসাকনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জালে বল পাঠাতে পারেননি। তিন মিনিট বাদে বাঁ দিক থেকে সতীর্থ ক্রেরিগ গুডউইনের বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে হেডে তিউনিশিয়ার জালে বল গলান মিচেল ডিউক। গোল খাওয়ার পরে শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছিলেন তিউনিশিয়ার ফুটবলাররা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুই মিনিটের ব্যবধানে দুটি ভাল আক্রমণ তুলে এনেছিলেন মাসাকানি, মাহামেদ দ্রাগাররা। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে তিউনিশিয়াকে আরও চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া। ৭১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ম্যাকলারেন। গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। এরপরেই আক্রমণের ধার বাড়ায় তিউনিশিয়া। ৭২ মিনিটের ভেতর এমসাকনি দুইবার গোল করার চেষ্টা করলেও তা প্রতিহত করেন অজি গোলরক্ষক রায়ান। অন্তত চার বার দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়েন অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলাররা।