কলকাতা : অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল আসায় নাভিশ্বাস উছেঠে আমজনতার । মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন CESC কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । বিলের কোপ থেকে বাদ জাননি খোদ বিদ্যুৎ মন্ত্রী । তিন-চার হাজারের বিল পৌঁছেছে ১২ হাজারে । পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে CESC কর্তাদের তলব করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় । CESC যাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে পুরো বিষয়টি অবগত করে তার নির্দেশও দেন তিনি । সে মতো আজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করার কথা CESC-র । তারই মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় পুরো বিষয়টি পোস্ট করে গ্রাহকদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন CESC-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউনের জেরে মিটার চেক করতে আসেননি CESC-র আধিকারিকরা। তবুও অনলাইনে বা ফোনের এস এম এসে ঢুকে গেছে মোটা অঙ্কের বিল । অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো গত বছরের বিলের সঙ্গে তুলনা করে প্রতি মাসের গড় করে ঠিক করা হয়েছে বিলের অঙ্ক। কিন্তু দেখা যায়, বিষয়টা আদতেও তা নয়। এক হাজার-দু’হাজারের পরিবর্তে ১০ হাজার, ১২ হাজার টাকাও বিল এসেছে অনেকের । যা নিয়ে গত মাস থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । ফেসবুকে বিলের ছবি দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে গ্রাহকরা । CESC-র টুইটার থেকে গ্রাহকে উদ্দেশে বার্তা দিতে ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা আপনাদের থেকে বেশি টাকা নিচ্ছি না । লকডাউনে আমরা আপনাদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব কম টাকা নিয়েছি । এই মাসে আপনাদের ব্যবহার করা অংশ ও আগের কয়েক মাসে বাকি থাকা টাকা যোগ করে একটি বিল করা হয়েছে । এবার সুবিধার জন্য আমরা কিস্তিতে বিল দেওয়ার সুবিধে দিচ্ছি । চলতি মাসে ৫০ শতাংশ ও আগামী আরও দু’মাসে ২৫ শতাংশ করে দেওয়া যাবে । আপনাদের বিলে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হবে ।”