বজবজ বিস্ফোরণের জেরে এক নাবালিকা সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভেঙে গিয়েছিল বাড়ির একাংশ। গত রবিবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে প্রায় ২০ হাজার কেজি বেআইনি শব্দবাজি। গ্রেফতার করা হয় ৩৬ জনকে। ঘটনাস্থল দেখতে গেল সিআইডি । বেআইনি বাজি কারখানা এবং বিস্ফোরণের প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। সোমবার সেই দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে আসে সিআইডি প্রতিনিধি দল। নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অন্যদিকে, এখনও চিংড়িপোতা গ্রামের এন্ট্রি পয়েন্টে জারি কড়া পাহারা। সমগ্র এলাকা ঘিরে রেখেছে মহেশতলা থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, গতকালের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে জয়শ্রী ঘাঁটি (১০), ৪৫ বছরের পম্পা ঘাঁটি (৪৫) এবং যমুনা দাসের (৬৫)। বিস্ফোরণের পরে ডায়মন্ড হারবারের ডিএসপি (ইন্ডাস্ট্রিয়াল) নিরুপম ঘোষের নেতৃত্বে চলে পুলিশি অভিযান। রাতভর অভিযানে উদ্ধার হয় প্রচুর শব্দবাজি। জানা গিয়েছে, বেআইনি বাজি এবং বাজি তৈরির মশলা মজুত ছিল ছাদে। রবিবার রাতে পুজো হচ্ছিল। সেখানের ধূপের আগুন ওই বাজি তৈরির মশলাতে পড়াতেই এই বিপর্যয়। অন্য দিকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট বেআইনি ফায়ার পটকাগুলির বিরুদ্ধে একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে আনুমানিক ৫০০০ কেজি অবৈধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে।