জেলা

শিল্পের সঙ্গে পর্যটনে ঢালাও বরাদ্দ, জল্পেশ মন্দিরে স্কাইওয়াক, মর্গান হাউসের সংস্কারের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

 উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ভিডিওকন গ্রাউন্ডে আয়োজিত সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে একাধিক প্রকল্পের সূচনা ও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister Mamata Banerjee)। পাশাপাশি জল্পেশ মন্দিরে স্কাইওয়াক তৈরি, মর্গান হাউসের সংস্কারের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগে উত্তরবঙ্গে কোনও উন্নয়ন হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর একাধিক উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়েছে। আজ সবদিক থেকে এগিয়ে চলেছে উত্তরবঙ্গ।” এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে একাধিক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থের ঘোষণা করে তিনি জানান, উত্তরবঙ্গজুড়ে একদিকে যেমন শিল্প তৈরি হবে, ঠিক তেমনই উত্তরের পর্যটনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে, চা সুন্দরী প্রকল্পে আরও বাড়ি তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এরফলে উপকৃত হবেন চা বাগানের শ্রমিকরা। চা বাগান ঘেরা এলাকা বীরপাড়ায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে হাসপাতাল। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে উত্তরের একাধিক এলাকায় রাস্তা ও কালভার্ট তৈরির জন্য কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের একাধিক পর্যটনস্থলকে ঢেলে সাজানোর জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জল্পেশ মন্দিরে স্কাই ওয়াক। বানারহাট শীতলা মন্দির সংস্কারে ১ কোটি টাকা। মর্গান হাউসের সংস্কারের জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করেন তিনি। এদিকে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফালাকাটায় অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরায়ণের পাশে ৭৭ একর জমিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির ঘোষণাও করেন। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে উৎকর্ষ কেন্দ্রের জন্য ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার! সেই প্রকল্পগুলি নিজের খরচে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। উত্তরবঙ্গের ডাবগ্রামে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হিসাব দিয়ে বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বলেন, “ওরা দেখতে পায় না।” এদিন সভা থেকে খতিয়ান তুলে মমতা বলেন, “আগে ১২ লক্ষ, এখন ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি বানানোর টাকা দেওয়া হল। ২৮ লক্ষ মানুষ উপকৃত হলেন। ১৪, ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আরও ১৬ লক্ষ যোগ্য পরিবারকেও আমরা বাড়ি করে দেব।”  পাশাপাশি জিএসটি থেকে প্রাপ্ত টাকাও কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জিএসটি কেন্দ্রীয় সরকার সংগ্রহ করে, আমরা সাহায্য করি। সেই টাকাটাও আমরা ঠিকঠাক পাই না।” এসবের বাইরে শিল্পপতিদের উপর কর চাপাচ্ছে কেন্দ্র, তারও বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।