আজ সকালে মালদার ইংরেজবাজারে জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ৷ একদিকে, ইংরেজবাজারের কাটাগড় এলাকায় উদ্ধার হল ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ ৷ অন্যদিকে, পারিবারিক বিবাদের জেরে ভাইকে খুনে অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে ৷ সাতসকালে জোড়া খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা শহরে ৷ দু’টি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ দুই ঘটনায় শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত ৷শুক্রবার রাতে মালদা শহরের কুলিপাড়া এলাকায় চন্দু পাসোয়ান (২১) ছুরিবিদ্ধ হন ৷ জানা গিয়েছে, চন্দুরা পাঁচ ভাইবোন ৷ পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল রাতে চন্দুর বড় ভাই বিকাশ পাসোয়ান মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন ৷ বিকাশের জুয়া খেলার নেশা ছিল বলে অভিযোগ ৷ এ নিয়ে পরিবারের প্রায়শই গন্ডগোল লেগে থাকত ৷ গতকাল রাতেও বিকাশ এবং আরেক ভাই পাপনের মধ্যে অশান্তি হয় ৷ দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ৷ সেই সময় চন্দু দুই ভাইকে ছাড়াতে গিয়ে ছুরিবিদ্ধ হন ৷ তৎক্ষণাত চন্দুকে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, হাসপাতালে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা চন্দুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷এদিকে ঘটনার পর থেকে বিকাশ এবং পাপন পলাতক বলে দাবি করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ চন্দুর ছোট ভাই কুন্দন জানান, তাঁর বড় দাদা বিকাশের জুয়া খেলার নেশা ছিল ৷ জুয়ার টাকা জোগাড় করতে এর আগে মোটর বাইক বন্দক রেখেছিলেন বিকাশ ৷ গতকাল রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন তিনি ৷ মোটর বাইক বাড়ি থেকে বের করতে উদ্যত হলে, তাঁর আরেক দাদা পাপন, বিকাশকে বাধা দেন ৷ দুই দাদাকে ছাড়াতে যান ছোট ভাই চন্দু ৷ সেই সময় তাঁর বুকে ছুরির আঘাত লাগে ৷ অন্যদিকে, শনিবার সকালে ইংরেজবাজারের কাটাগড় এলাকায় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গলা কেটে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে ৷ মৃত ব্যক্তির নাম সুর রহমান ৷ বাড়ি কালিয়াচকের সুজাপুর এলাকায় ৷ জানা গিয়েছে, সুর রহমান ইংরেজবাজারের পাতালচণ্ডী এলাকায় পুকুর পাহারা দেওয়ার কাজ করতেন ৷