হিমাচল প্রদেশে ভয়াবহ ধসে মৃত্যু হল ১৮ জনের। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিলাসপুরে বালুঘাট এলাকায় ধসের কবলে পড়ে একটি বাস । তাতে ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে প্রশাসন । তাঁদের মধ্যেই এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু-সহ আরও অনেকে। প্রধানমন্ত্রীার ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে। আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে । প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটি মোর্টন থেকে ঘুমারিনের দিকে যাচ্ছিল । বালুঘাট এলাকায় এসে পৌঁছতেই বাসটি ধসের কবলে পড়ে। পাহাড়ের গা বেয়ে একের পর এক পাথর নেমে আসতে থাকে। বাসের ভিতর থাকা যাত্রীদের উপর মুহূর্তের মধ্যে নেমে আসে মৃত্যুর কালো ছায়া। বাস থেকে কেউ বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয় । সোমবার সকাল থেকে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। আপাতত ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে । সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে মৃতের সঠিক সংখ্যা জানা যাবে । পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যরা । এক্স হ্যান্ডেলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লেখেন, “হিমাচল প্রদেশে ভূমিধসের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। যাঁরা স্বজন হারালেন তাঁদের সমবেদনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হবেন-এই কামনা করি।” প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরের ঘটনায় আমি শোকস্তব্ধ। আমরা সবাই স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে আছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হবে। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা করে ।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, হিমাচল প্রদেশের ঘটনা শুনে আমি ব্যথিত। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন এবং উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন।


