কলকাতা

টানা ২৭দিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ থাকবে

 টানা ২৭দিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। সেতু সংস্কারের কাজ হবে রাতের বেলায়। কেননা রাতে আমজনতা রাস্তায় থাকেন না। গাড়ি বা বাসের ভিড়ও থাকে না। লরির যে ভিড় থাকে সেটা অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। নজরে রবীন্দ্র সেতু যাকে সবাই একডাকে হাওড়া ব্রিজ বলেই চেনেন। চলতি মাসেই এই সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হতে চলেছে। তার জন্য টানা ২৭দিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা অবধি এই সেতু দিয়ে সমস্ত রকমের যানবাহণ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ না হলে অতিরিক্ত সময় নেওয়া হতে পারে। ৮০ বছরের পুরাতন হাওড়া ব্রিজে যেটা করা হবে সেটা প্রযুক্তিবিদদের কাছে Dace Surface Repairment নামেই পরিচিত। ৯টি পর্যায়ে এই মেরামতের কাজ হবে। একেকটি পর্যায় ব্রিজের ১৪০০ মিটার অংশে মেরামতির কাজ হওয়ার কথা। প্রথমে ব্রিজের ওপর রাস্তায় থাকা মোটা পিচের যে আস্তরণ রয়েছে তা সম্পূর্ণ তুলে ফেলা হবে। তারপর পিচের নীচে থাকা ব্রিজের ইস্পাতের তৈরি ডেকের কাঠামোয় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখবেন বিশেষজ্ঞরা। শেষপর্যায়ে ২৫ মিলিমিটার পুরু বিটুমিনাস দিয়ে ম্যাস্টিক রাস্তার কাজ শেষ হবে। Kolkata Port Trust বা KPT সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ৬ ডিসেম্বর এই কাজের জন্য তাঁরা Work Order ইস্যু করেছিলেন। কিন্তু কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না কলকাতা পুলিশ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায়। যেহেতু Kolkata Port Trust এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে তাই সেতু সংস্কারের যাবতীয় খরচ তাঁরাই বহণ করবে। এই সংস্কারের কাজে প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ পড়ছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশ গত ১০ মে থেকে হাওড়া ব্রিজ মেরামতির অনুমোদন দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দ্রুত শুরু হতে চলেছে মেরামতির কাজ। একটানা ২৭ রাত ধরে মেরামতির কাজ চলবে। রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ব্রিজের এক তৃতীয়াংশ জুড়ে এই মেরামতির কাজ হবে। ব্রিজের বাকি অংশে যানবাহন চলাচল করবে। কাজ চলাকালীন যানজট যাতে না হয়, তার জন্য কলকাতা ও হাওড়া পুলিশ সবরকম পদক্ষেপ করছে। তাও যানজটের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না নিত্যযাত্রীরা। বিশেষ করে হাওড়ায় ট্রেন ধরতে যাওয়া যাত্রীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা। কাজের সময়ে হাওড়া ব্রিজ দিয়ে যাবতীয় লরি বিদ্যাসাগর সেতু ও নিবেদিতা সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।