কলকাতা

ফের মূল্যবৃদ্ধি, এক ধাক্কায় মেট্রোর ‘স্মার্ট কার্ড’-এর দাম বেড়ে হচ্ছে ১৫০ টাকা

করোনাকালে ছোঁয়াচ এড়াতে প্রায় বছর খানেকের বেশি সময় টোকেন ইস্যু করা বন্ধ করে দিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যার জেরে যাত্রীরা নির্দিষ্ট দূরত্বের ভাড়া কেটে যাত্রার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। মেট্রোয় ওঠার জন্য ১০০ টাকার স্মার্ট কার্ড কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন যাত্রীরা। সেই ১০০ টাকার মধ্যে সিকিওরিটি ডিপোজিট হিসেবে ৬০ টাকা জমা থাকত মেট্রোর তহবিলে। মাত্র ৪৪ টাকায় (৪০ টাকার উপর ১০ শতাংশ বোনাস) মেট্রো রাইড অর্থাৎ সফর করার সুযোগ পেতেন যাত্রীরা। ২০২১ সালের নভেম্বরে করোনার দাপাদাপির মধ্যেই নয়া স্মার্ট কার্ডের দাম ২০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। ১০০ থেকে বেড়ে কার্ডের দাম হয় ১২০ টাকা। এক্ষেত্রে যাত্রীদের বাড়তি কোনও সুবিধা দেয়নি মেট্রো। কারণ, ওই বাড়তি ২০ টাকা পুরোটাই কার্ডের সিকিওরিটি ডিপোজিট হিসেবে চলে যায় মেট্রোর ঘরে। অর্থাৎ, বর্তমানে ১২০ টাকা দিয়ে মাত্র ৪৪ টাকার রাইড পান যাত্রীরা। আগামী ১ জুন থেকে ফের বাড়ছে কলকাতা মেট্রোর স্মার্ট কার্ডের দাম। ১২০ টাকার কার্ড এবার কিনতে খরচ পড়বে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ ফের ৩০ টাকা মূল্যবৃদ্ধি। যাতে মাত্র ৭৭ টাকার রাইড পাবেন যাত্রীরা। রাইডের ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও, নয়া কার্ড কিনতে ন্যূনতম ১৫০ টাকা দিতেই হবে যাত্রীদের। যা করোনা পূর্ববর্তী সময়ে ছিল ১০০ টাকা। এতেই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। মূল্যবৃদ্ধির সপক্ষে অবশ্য মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের যুক্তি, ‘১২০ টাকা খুচরো দিতে সমস্যা হচ্ছে যাত্রীদের। আর প্রতিবার তা ভাঙিয়ে দেওয়া একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কয়েকবছর আগেও ঘুরপথে একরকম ভাড়া বৃদ্ধি করেছিল কলকাতা মেট্রো। আগে প্রথম ৫ কিলোমটারের জন্য মেট্রোর ন্যূনতম ভাড়া ছিল ৫ টাকা। সেই ভাড়া অপরিবর্তিত রাখলেও, কমিয়ে দেওয়া হয় সফরের দূরত্ব। বর্তমানে মাত্র ২ কিলোমিটার পথ যেতে যাত্রীদের ৫ টাকা ভাড়া দিতে হয়। এবার স্মার্ট কার্ডকে ব্যবহার করে আয় বৃদ্ধির নয়া পন্থা নিয়েছে মেট্রো। প্রথমত, কার্ডের উপর বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সদ্যসমাপ্ত চলতি অর্থবর্ষেই টিকিট বহির্ভূত খাতে ৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আয় করেছে মেট্রো। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় যা ৮৬ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ, আম জনতার ঘাড়ে কোপ বসিয়ে কোষাগার ভরছে রেলের। অথচ, ফেরানো হচ্ছে না প্রবীণ নাগরিক সহ একাধিক ক্যাটিগরির ছাড়।