জেলা

এড়ালেন ইডি হাজিরা, কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত মহুয়া মৈত্র

হাজিরা এড়ালেন মহুয়া মৈত্র। দিল্লিতে ইডির হাজিরা এড়িয়ে কৃষ্ণনগরে প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। সিবিআই তল্লাশির পর আজ মহুয়া মৈত্রকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। মহুয়া ছাড়াও তাঁর শিল্পপতি বন্ধু ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডেই দিল্লিতে তলব করে ইডি। তবে তলবে সাড়া দিলেন না মহুয়া মৈত্র। হাজিরা এড়ালেন তিনি।  এ দিন মহুয়া মৈত্র বলেন, “সিবিআই এল, আমার বাড়ি সার্চ করল। যাওয়ার সময় আমায় ৫টা পঞ্চনামা ধরিয়ে গেল। সেখানে লেখা, নো ইনক্রিমেন্টিং এভিডেন্স, নো ডকুমেন্ট, নো সিজার। সিবিআই যখন কিছু পায়, তখন ছাতি চিতিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়। আমার বাড়িতে কিছুই পায়নি। অভিযান চালিয়ে লবডঙ্কা পেয়েছে। জিনিসটা আমার বেশ হাস্যকর লাগছে। মানুষ সবকিছুই দেখছে।” মহুয়া মৈত্র আরও বলেন, “মানুষের মুখ বন্ধ করা যায় না। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। আমি ওপেনলি জীবনযাপন করি। কারোর যদি তা নিয়ে সমস্যা হয়, সেটা তাদের সমস্যা। আগামিদিনে কী হয়, কেউ জানে না। কে জেলে বসে, কে সিংহাসনে বসে, তা মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে।” ইডির সমন পাঠানো নিয়ে বলেন, “সবে তো শুরু। ইডি আসবে, সিবিআই আসবে। প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। আমি তো সবাইকে বলি, কৃষ্ণনগরে আসুন, সরপুরিয়া খান, আর আমার ভোটটা বাড়ুক। প্রধানমন্ত্রী বিজেপি প্রার্থীকে ফোন করবেন না তো কী আমায় ফোন করবেন!” এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন মহুয়া। বুধবার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়ের সঙ্গে মোদীর ফোনকল প্রকাশ্যে আসে। কথোপকথনের সময় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে সমাজ সংস্কারক বলে উল্লেখ করেছিলেন মোদি। যাকে বিঁধে মহুয়ার পোস্ট, প্রধানমন্ত্রী সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় ও কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছেন! খুবই বাজে হোমওয়ার্ক! বলেও কটাক্ষ করেন মহুয়া।  প্রসঙ্গত, বিতর্কের মধ্যেও মহুয়ার পাশেই রয়েছে দল। এবার লোকসভা নির্বাচনেও কৃষ্ণনগর থেকে মহুয়া মৈত্রকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এমনকি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও মহুয়ার কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।