তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দিক। তা হলে জোট আরও শক্তিশালী হবে। এমনটাই মনে করছে ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক সমাজবাদী পার্টিও। জানালেন দলের মুখপাত্র। তৃণমূল নেত্রী একটি টিভি সাক্ষাৎকারে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, তিনি ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। সমাজবাদী পার্টির মতে, এটা হলে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে ভোটের পরাজয়ের পরে জোট শক্তিশালী হবে। কংগ্রেস তার বিরোধিতা করেছে। কিছু দিন আগেই মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের মতো একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর জোটে শতাব্দী প্রাচীন দলটির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উলটোদিকে বিধানসভা, লোকসভা এমনকী, বাংলায় ছয় উপনির্বাচনেও সবুজ ঝড়ের পর জোটের মুখ হিসেবে নতুন করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামই উঠে আসছে। অন্যদিকে, আরজেডি বলেছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবই ইন্ডিয়া জোটের মূল স্থপতি। সমাজবাদী পার্টির জাতীয় মুখপাত্র উদয়বীর সিং বলেন, ইন্ডিয়া জোটের উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করা। তৃণমূল সুপ্রিমোকে ১০০ শতাংশ সমর্থন ও সহযোগিতা করা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করলে ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের তা বিবেচনা করা উচিত। তাঁকে সমর্থন দেওয়া উচিত। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে থামিয়ে দিয়েছেন। সরকার গঠন করা যায়নি হরিয়ানা বা মহারাষ্ট্র। সেই সব জায়গায় কংগ্রেসই প্রধান দল ছিল। প্রত্যাশিত সাফল্য না পেলে সেই দায়িত্বও তাদের উপর বর্তায়। সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র নির্বাচনে কংগ্রেসের মনোভাবের নিন্দা করেছেন। তাঁর কথায়, কংগ্রেসের আত্মদর্শন করা দরকার। কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের অংশীদারদের কথা শুনলে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে ফল ভিন্ন হত। লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফলের জন্য এনডিএকে ২৯৩-য়ে আটকে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু, ইন্ডিয়া জোট হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়। তবে কংগ্রেস সাংসদ বর্যা গায়কোয়াড় জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই মনে করেন, কিন্তু আমরা তা করি না। তাঁর দল তাঁর মতো চলে। আমরা কংগ্রেসের মতো চলি। আরজেডি নেতা মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেন, লালুপ্রসাদ যাদবের উদ্যোগেই পাটনায় বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠক হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের আসল স্থপতি হলেন লালুপ্রসাদ যাদব।