দেশ

মামহানির মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন নিজের আইনজীবী, স্থগিতাদেশ চাইলেন মহুয়া মৈত্র

দিল্লি হাইকোর্টে মহুয়া মৈত্র মামলার শুনানিতে স্থগিতাদেশ চাইলেন খোদ মহুয়াই। উল্টোদিকে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন অপর পক্ষ। গতকাল একটি বাণিজ্যিক সংস্থার তরফে প্রকাশ করা বিবৃতির উল্লেখ করা হল আদালতে। যেখানে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ হিসেবে পাওয়া লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড একটি ব্যবসায়িক সংস্থাকে শেয়ার করার অভিযোগও উঠেছে। উল্টোদিকে, মহুয়া মৈত্রর রাজনৈতিক পরিচয়, বিধায়ক ও সাংসদ হিসেবে তাঁর সক্রিয়তার উল্লেখ করেন তাঁর আইনজীবী। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩১ অক্টোবর।এরই মধ্যে অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নের ইস্যুতে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে সরে দাঁড়ালেন মহুয়া মৈত্রর আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ। আজ দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি শচীন দত্তার এজলাসে শুনানি চলাকালীন মহুয়ার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগকারী তথা তাঁর প্রাক্তন বন্ধু আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রয়ী অভিযোগ করেন, এই মামলায় মহুয়ার আইনজীবী শংকরনারায়ণের Conflict of interest আছে। তাঁর এই মামলায় অ্যাপিয়ার করা উচিত নয়। জয় অনন্তের অভিযোগ, ‘গতকাল তাঁকে ফোন করেছিলেন মহুয়ার আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ। তিনি বলেন মহুয়ার বিরুদ্ধে করা সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলে মহুয়ার তরফ থেকে পোষ্য কুকুর হেনরিকে ফেরত দেওয়া হবে।’ এরপরই বিচারপতি দত্তা আইনজীবী গোপাল শঙ্কর নারায়ণের কাছে জানতে চান, তিনি সত্যি মামলায় নিজের Defendant জয় অনন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা? জবাবে গোপাল শঙ্করনারায়ন কোর্টকে জানান, তিনি তাঁর মক্কেল মহুয়া মৈত্রকে জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে জয় অনন্তকে চেনেন। তিনি কথা বলতে পারেন।’ এরপরই বিচারপতি শচীন দত্তা নির্দেশ দেন, যেহেতু শংকরনারায়ণ এক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর কাজ করেছেন সেক্ষেত্রে তিনি কখনই আইনজীবী হিসেবে এই মামলায় অ্যাপিয়ার করতে পারেন না। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো মামলা থেকে সরে দাঁড়ান মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ।