দেশ

নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে কেরালায় বন্ধ স্কুল-অফিস, ৭টি গ্রামকে ‘কনটেনমেন্ট জোন’  ঘোষণা, ফিরল মাস্ক!  

নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে কেরালার সাতটি গ্রামকে ‘কনটেনমেন্ট জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হল। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হল স্কুলও।  কোঝিকোড় জেলার ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ‘কনটেনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিছু স্কুলও। এর সঙ্গে সংক্রমিত এলাকার কিছু কিছু অফিস-কাছারিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা খুব স্বাভাবিক ভাবেই করোনা-লকডাউনের স্মৃতি উসকে দিচ্ছে। কেরালার কোঝিকোড়ে ‘নিপা’ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেরালা প্রশাসন। উদ্বিগ্ন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। কেন্দ্র কেরালায় এক্সপার্ট টিম পাঠিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুক মাণ্ডব্য  মঙ্গলবারই কেরলের দুটি মৃত্যুর ঘটনাকে ‘আনন্যাচারাল ডেথস’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে যে কেন্দ্রীয় দল কেরালায় ছুটে গিয়েছে, তাদের প্রথম কাজই হবে, কেরালা রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক যোগে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণকে ঘিরে এই যে নতুন শঙ্কার বাতাবরণ সেখানে তৈরি হয়েছে, তাকে নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি ইতিবাচক করে তোলা। ইতিমধ্যেই

আরও পড়ুন: কেরালায় নিপা ভাইরাসে ২ জনের মৃত্যু

পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-তে পরীক্ষার জন্য় স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে। কোঝিকোড় জেলা জুড়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই জারি হয়েছে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সতর্কতা। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছিলেন, কোঝিকোড় জেলা প্রশাসন জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকে সতর্কতামূলক পন্থা হিসেবে মাস্ক পরতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী-সহ যাঁরা হাসপাতালগুলিতে নিপা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন তাঁদের পিপিই কিট পরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে কারণে অকারণে যখন-তখন হাসপাতালে বা তার সন্নিহিত এলাকায় যেতে নিষেধ করেছেন তিনি। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছিলেন, তাঁরা এই দুটি মৃত্যুকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনিও রাজ্যবাসীকে সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, নিপায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা হচ্ছে।