চুরি করায় জেল হল খোদ গুজরাতের ৫ পুলিশের। তাও আবার মদ চুরি! ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের মহিসাগর জেলায়। মদ ছাড়াও পুলিশি হেফাজত থেকে চুরি গিয়েছে বাজেয়াপ্ত করা বেশ কয়েকটি টেবিল ফ্যানও। এনিয়ে প্রবল চাপে গুজরাট পুলিশ। মহিসাগর জেলা পুলিশের হেফাজতে ছিল বাজেয়াপ্ত করা মদ ও বেশকিছু টেবিল ফ্যান। এখন দেখা যাচ্ছে পুলিশি হেফাজত থেকে চুরি গিয়েছে ১২৫ বোতল মদ ও ১৫টি টেবিল ফ্যান। সবেমিলিয়ে ওইসব জিনিসের মূল্য ১.৯৭ লাখ টাকা। ওই ঘটনায় কোপ পড়েছে পুলিস কনস্টেবল ও এসআইদের উপরে। গ্রেফতার করা হয়েছে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর-সহ মোট ৫ জনকে। পুলিশের ডিএসপির বক্তব্য, খানপুর তালুকের বাকোর থানায় ওইসব মদ রাখা ছিল থানার মহিলাদের লকআপে। জেলা পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, বাকোর পুলিশ ৪৮২ বোতল বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত করেছিল। টেবিল ফ্যানের প্যাকেটে ওইসব মদ গুজরাটে পাচার করা হচ্ছিল। মদের সঙ্গে ১৫টি ফ্যানও বাজেয়াপ্ত করা হয়। থানায় স্টোর রুম ভর্তি থাকায় ওইসব মদ রাখা হয়েছিল মহিলা লকআপের ভেতরে।সম্প্রতি পুলিশ কর্তাদের থানায় আসার কথা ছিল। তার জন্যই বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্র মিলিয়ে দেখা শুরু হয়। তাতেই ধরা পড়ে ওইসব মেদের বোতল ও ফ্যান গায়েব। তদন্তে ধরা পড়ে ১২৫ বোতল বিদেশি মদ ও ১৫টি ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। মদের মোট মূল্য ১.৫৭ লাখ টাকা।। অন্যদিকে, ১৫টি ফ্যানের দাম ৪০,৫০০ টাকা। এরপরই ওই ৫ পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। তদন্তে জানা যায় ওইসব মদ চুরির পরিকল্পনা করেন এএসআই অরবিন্দ কান্ত। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা যায় অরবিন্দ কান্ত ও কনস্টেবল ললিত পারমার রাত দশটা নাগাদ মহিলা লকআপে ঢুকছে। বেরিয়ে আসছে মদের বোতল হাতে নিয়ে।