ইঞ্জিনের ট্রাকশন মোটর খুলে যাওয়াতেই নাকি বিপত্তি ৷ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে এই তথ্যই উঠে আসছে ৷ তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার পিছনে ট্রেন চালকের গাফিলতি দেখেননি ৷ যদিও আহতদের একটি পরিবার মনে করছে, চালকের গাফিলতিই এর মূল কারণ ৷ আর তাতেই ময়নাগুড়ি জিআরপি থানায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটির চালক প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন কোচবিহারের আহতদের পরিবারের এক সদস্য ৷ বর্তমানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ট্রেন চালককে রাখা হয়েছে । আরপিএফের কমান্ডোরা নিরাপত্তায় রয়েছেন অভিশপ্ত ট্রেনটির চালক ৷ কোচবিহার জেলার পুন্ডিবাড়ি থানা এলাকার মধুপুরধামের আহত বাসিন্দা উত্তর রায় ও তাঁর পরিবার ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটিতে ছিল ৷ পরিবারের সকলেই অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন ৷ এই মুহূর্তে তাঁরা ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর ওই ব্যক্তি ময়নাগুড়ি জিআরপি থানায় চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ তাঁর মতে, চালক প্রদীপ রায়ের গাফিলতির কারণেই এতবড় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ এমনটাই জানিয়েছেন ময়নাগুড়ি জিআরপি থানার ওসি হরিদাস মোদক ৷ বৃহস্পতিবারের এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের ৷ আহত অনেকে ৷ চালক প্রদীপ কুমার প্রাণে বেঁচেছেন ৷ দুর্ঘটনার সময়কার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “ট্রেনটি ৯৫-১০০ কিমি গতিতে ছিল ৷ দোমোহনি স্টেশনে সবুজ সংকেত দেখেই ট্রেনটি চালাচ্ছিলাম । হঠাৎ অ্যাডভান্স সিগন্যালের আগে ঝাঁকুনি অনুভব করি । এরপর ব্রেক কষে দিতেই দেখি পিছনে বগি উলটে গিয়েছে । কীভাবে হল বুঝতেই পারলাম না । রেল ট্র্যাকের সমস্যার জন্যই এমন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে ৷”