বিদেশ

অগ্নিগর্ভ লাহোর, ৭ ঘণ্টা সংঘর্ষের পরও পুলিশের হাতে অধরা ইমরান, ফিরতে হল খালি হাতেই

ইমরানের বাড়ি লাগোয়া জামান পার্ক এলাকা থেকে পিটিআই সমর্থকদের হঠাতে গেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে দু’পক্ষ ৷ সূত্রের খবর, পিটিআই সমর্থকদের প্রবল প্রতিরোধের জেরে অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য় হয় পুলিশ ৷ তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই ফিরতে হল পুলিশকে ৷ দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পরে পাকিস্তান তেহরিকইইনসাফ পিটিআইএর কর্মীসমর্থকেরা ৷ ইমরানের বাড়ির দিকে পুলিশ অগ্রসর হচ্ছে খবর পৌঁছোতেই লাহোরের জামান পার্কের দখল নিয়ে নেয় পিটিআইএর কর্মীসমর্থকরা ৷ ইমরানের বাড়ি লাগোয়া জামান পার্ক এলাকা থেকে পিটিআই সমর্থকদের হঠাতে গেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে দু পক্ষ ৷ সূত্রের খবর পিটিআই সমর্থকদের প্রবল প্রতিরোধের জেরে অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য় হয় পুলিশ ৷ ইমরানের গ্রেফতারির আশঙ্কায় মঙ্গলবার বিকাল থেকেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লাগোয়া ক্য়ানাল রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে কয়েক হাজার পিটিআই কর্মীসমর্থকেরা ৷ সেখানেই পুলিশ তাদের ওপর প্রথমে জলকামান এবং পরে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ ৷ প্রাথমিকভাবে ক্য়ানাল রোড থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে পারলেও পিটিআই সমর্থকরা এরপর কার্যত জামান পার্কের দখল নিয়ে নেয় ৷ অন্য়দিকে লাগাতার এই বিক্ষোভ অবরোধের জেরে এদিন রাত পর্যন্ত ইমরান খানের বাড়ির দরজা পর্যন্ত পৌঁছোতেই পারেনি সে দেশের পুলিশ ৷ দু পক্ষের সংঘর্ষে মুহূর্তে গোটা এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোরও অভিযোগ করেছে ইমরানের দল তেহরিকইইনসাফ ৷ অন্য়দিকে রাতেই এক ভিডিয়ো বার্তায় সমর্থকদের উদ্দেশে ইমরান খান বলেন আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি ৷ আমি ইতিমধ্য়েই জানিয়েছিলাম ওরা পুলিশ আজ আসবে ৷ সেই মতোই এখন বাইরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷ এমনকি তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও আছে ৷ তাদের ধারণা পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী এই ঘরে লুকিয়ে আছে ৷ অথচ সবচেয়ে বড় অপরাধীরা এখন সরকারে বসে আছে ৷ এদিন টানা সাত ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ চলে ইমরানের দলের লোকেদের৷ প্রতিবাদ ক্রমে হিংসাত্মক হয়ে উঠলে কাঁদানে গ্য়াসের সেল ছুঁড়ে লাঠি চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ ৷ এরপরই ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে কর্মীদের ফের উজ্জিবীত করে তোলার পাশাপাশি সমর্থকদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র বিরোধীতা করেন ইমরান ৷ তিনি বলেন বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ৷ সংবিধান এবং দেশের আইন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার দেয় ৷ সেইসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন ওরা আমাকে ভয় পেয়েছে৷ তাই এসব করে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরাতে চায়৷ এ লড়াই আপনারা থামাবেন না৷ স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের লক্ষে লড়াই আপনাদের চালিয়ে যেতে হবে ৷