কলকাতা

পরীক্ষা শুরুর আগেই ডি-এলএড-র প্রশ্নপত্র ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়, তদন্ত কমিটি গঠন পর্ষদ সভাপতির

অস্বস্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। নিয়োগ বিতর্কের পরে এবার পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস। আজ থেকে শুরু হয়েছে ডিএলএড পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর আগেই ডি-এলএড-র প্রশ্ন ফাঁস! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে প্রশ্নপত্রের ফোটোকপি! পরীক্ষার্থীদের দাবি,  ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে নাকি হুবহু মিলে গিয়েছে আসল প্রশ্নপত্র! কীভাবে? ‘আমরা তদন্ত কমিটি গড়ছি’, সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।  প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “সংবাদমাধ্যমে কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু কোনও অফিসিয়াল অভিযোগ পাইনি। থানা থেকে প্রশ্ন পাওয়ার কথা ছিল সাড়ে ১০টা নাগাদ। MCQ এবং ২ নম্বরের প্রশ্ন কোনও ভাবে বাইরে এসেছে। প্রশ্নফাঁসের পিছনে অবশ্য ব্যক্তি বিশেষের বিশ্বাসঘাতকতাকেই দায়ী করেছেন গৌতমবাবু। তাঁর অভিযোগ, ”নির্দিষ্ট ব্যক্তি যদি বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তাহলে কী ভাবে বাধা দেওয়া সম্ভব! এটা অনৈতিক কাজ! বোর্ড চুপ করে নিশ্চই বসে থাকবে না। বোর্ড বিষয়টা হালকা ভাবে নিচ্ছে না। আমি খোঁজ নিয়েছি, এখনও পর্যন্ত কোথাও বিশৃঙ্খলা হয়নি। বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রটোকল মেনে করতে হয়।” তবে গৌতমবাবু মনে করেন, ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। এর মধ্যে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা আর ঘটবে না বলেই আশ্বাস তাঁর।