কলকাতা

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষে নেতাজি ইনডোরে অনুষ্ঠিত হল ‘বিবেক চেতনা’ উৎসব

গত ২০১১ সাল থেকেই বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে ‘বিবেক চেতনা উৎসব’ পালন করা হয় বাংলা জুড়ে।  এবারেও স্বামীজির জন্মদিবস উপলক্ষে উপলক্ষে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে ‘বিবেক চেতনা’ উৎসবের। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও বেলুড় মঠের মহারাজরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল থেকে নেতাজি ইনডোরে এসেছিল শিক্ষার্থীরা। এদিন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘বিবেক চেতনা উৎসবে’ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, আজ অতন্ত পবিত্র দিন আমাদের কাছে, একটি মানুষ যিনি শুধু ধর্ম না যিনি মানুষের কাছে বলেছিলেন কর্মই হচ্ছে ব্রমহ। কাজের মধ্য দিয়েই ভগবানকে পেতে হবে। সেই ভগবান কে, তিনি বলেছিলেন মানুষই হলো সেই ভগবান। জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। মানুষের পুজোর মধ্য দিয়ে ভগবানের সেবা করা, মানুষের পাশে থাকা,সেই শিক্ষাই বিবেকানন্দ আমদের দিয়েছেন। মন্ত্রী এও বলেন, আমরা বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানাই, কিন্তু আমরা যদি বিবেকানন্দের প্রতিটি কথা জীবনের প্রতিটি পদে পদে আমাদের জীবনে অনুসরন করি তাহলেই কিন্তু আমরা এক নতুন ভারতবর্ষ দেখতে পাবো। আজকে বিভেদের রাজনীতি চলছে। মানুষকে মানুষকে আলাদা করা হচ্ছে, সম্প্রদায় এর সঙ্গে সম্প্রদায়ের আজকে দাঙ্গা লাগানো হচ্ছে, স্বামীজি তো সে কথা বলেননি। তিনি বলেছিলেন মানবতাই তো সবচেয়ে বড় ধর্ম। অনেকে দেখছি আজ সকাল সকাল গিয়ে স্বামীজিকে প্রণাম করছেন, স্বামিজিকে গিয়ে পুষ্পাঘ্র অর্পণ করছেন। আর স্বামীজির মানবতার ধর্ম না বরং বিভেদকামি রাজনীতি, মানুষে মানুষে হানাহানির রাজনীতি তারা করছেন। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলব ,আমি স্বামীজির কাছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব তাদের সুমতি দিন। তারাও যেনো সবাইকে ভালোবেসে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ভালোবেসে সবাইয়ের হাত ধরে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে। যুবকদের উদ্দেশ্যে বললেন — যুবরাই হচ্ছে শক্তি। আর স্বামীজি সেই যুবকদের নিয়েই নতুন ভারতবর্ষ গড়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। আসুন স্বামীজির দেখানো পথ ধরে আমরা এগিয়ে চলি। সেটাই আসল পথ। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্বামীজির জন্ম দিবস উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।