কলকাতা

বাংলার গ্রাম ভারত সেরা, ঘোষণা মোদি সরকারের, বিদেশ থেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

দেশের শ্রেষ্ঠ পর্যটন গ্রাম মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী

বাংলার মুকুটে নয়া পালক। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের বিচারে দেশের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’ কিরীটেশ্বরী। দুবাই থেকে X হ্যান্ডলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। লগ্নি টানতে গত সপ্তাহে স্পেন সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বর্তমানে দুবাইতে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার X হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরীকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। দেশের ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত ৭৯৫টি আবেদনের মধ্যে ২০২৩ সালের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম প্রতিযোগিতা’ হয়েছিল। সেখানেই কিরীটেশ্বরীকে নির্বাচন করা হয়েছে৷ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে হবে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। আমি ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাই। জয় বাংলা।” কিরীটেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে অবশ্য বহু মত প্রচলিত আছে। প্রাচীন ইতিহাস অনুযায়ী নাম ছিল কিরীটকণা। তাই কেউ বলেন, এখানে সতীর মুকুটের কণা পড়েছিল, আবার কেউ বলেন ললাট বা কপাল।১১০৪ বঙ্গাব্দে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন নাটোরের রানি ভবানী। পরবর্তী সময়ে মহারাজা রাও যোগেন্দ্রনারায়ণ রায় ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে এই মন্দিরের সংস্কার করেন। তবে যোগেন্দ্রনারায়ণ রায়ের সময়ের যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে পুনঃ সংস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে। ৫১ পীঠের এক পীঠ মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী মন্দির। কথিত আছে, এই মন্দিরে সতীর মুকুট বা কিরীট পড়েছিল। প্রতিদিন অগণিত পুণ্যার্থী ভিড় জমান এই মন্দিরে৷ মন্দিরের প্রবেশদ্বার ছিল এলাকার মুকুন্দবাগের বাসিন্দা প্রয়াত আবদুল হাকিম মণ্ডলের জমির উপর৷ তিনি জীবিত থাকাকালীন বারবার স্বেচ্ছায় মন্দির কমিটির কাছে আবেদন রেখেছিলেন ওই জমি যাতে মন্দিরের নামে দলিল করে নেওয়া হয়৷ কিন্তু সেই সময় তাঁর ইচ্ছাপূরণ হয়নি৷ এরপর হাকিম সাহেবের স্ত্রী তকিমুন্নেশা বিবিরও মৃত্যু হয়৷ বাবা-মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী ওই জমি কিরীটেশ্বরী মন্দিরকে দান করেন তাঁর পুত্র লুৎফল হক, কন্যা রাবেয়া, রাফিয়া বিবি, ফাইজুন বেওয়া ও পৌত্র হাবিবুর হক৷ শেষ পর্যন্ত মন্দির কর্তৃপক্ষ ওই জমি গ্রহণ করে৷ এই পর্যটক গ্রামকে কেন্দ্রীয় সরকার বিবেচিত করার কারণে আগামিদিনে পর্যটকদের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি হবে, ঠিক তেমনই আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে বলেই আশাবাদী সকলে।