চেন্নাই সুপার কিংস: ১৬৭/৯ (জাদেজা ৪৩, রুতুরাজ ৩২, চাহার ২৩/৩)
পঞ্জাব কিংস : ১৩৯/৯ (প্রভসীমরণ সিং ৩০, শশাঙ্ক ২৭, জাদেজা ২০/৩)
২৮ রানে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস।
পঞ্জাবকে ২৮ রানে হারালো চেন্নাই সুপার কিংস। এদিন টসে জিতে পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কুরান প্রথম বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। অজিঙ্ক রাহানে (৯) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক রুতুরাজ (৩২) ও ড্যারিল মিচেল (৩০)। কিন্তু চূড়ান্ত ব্যর্থ সদ্য বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া শিবম দুবে। আগের ম্যাচের মতো এদিনও তিনি শূন্য রানে আউট হলেন। যা নিঃসন্দেহে দুশ্চিন্তায় ফেলবে জাতীয় নির্বাচকদের। ধোনির ব্যাটেও রান এল না। যাঁকে দেখার জন্য আইপিএলের প্রতিটি দলের সমর্থকরা অপেক্ষা করে থাকেন, তিনিও ফিরে গেলেন শূন্য রানে। হর্ষল প্যাটেলের স্লোয়ার তাঁর উইকেট ভেঙে দিল। ম্যাচের প্রায় শেষ পর্যন্ত লড়ে গেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। একদিকে উইকেট পড়তে থাকলেও তিনি ২৬ বলে ৪৩ রান করে গেলেন। ৯ উইকেট হারিয়ে চেন্নাইয়ের ইনিংস থামল ১৬৭ রানে। চলতি আইপিএলে যেভাবে বড় রান হচ্ছিল, তাতে এই রান একেবারেই অসম্ভব ছিল না। যদিও গত কয়েক ম্যাচ ধরেই রানের গতি নিম্নগামী। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ১৬৯ রান করেও ম্যাচ জিতেছিল নাইট রাইডার্স। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। পাঞ্জাবের হয়ে প্রভসীমরণ সিং (৩০) শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু চেন্নাই ইনিংসের মতোই একদিক থেকে উইকেট পড়তে শুরু করল। বেয়ারস্টো (৭), রুসো (০), স্যাম কুরান (৭) সকলেই ব্যর্থ। তুষার দেশপাণ্ডে, সীমরণজিৎ সিংদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে বন্দি হয়ে গেলেন শশাঙ্ক সিংরা। কে বলবে চেন্নাই দলে মুস্তাফিজুর, পাথিরানার মতো বোলার নেই? অন্যদিকে যেন স্পিনের মায়া ছড়ালেন জাড্ডু। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অনায়াসে পিচের টার্ন আদায় করে নিলেন। পাঞ্জাবের দুর্ভাগ্য ব্যাট হাতে তাঁদের কাছে কোনও জাদেজা ছিল না। শেষের দিকে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন টেল এন্ডাররা। কিন্তু মাত্র ১৩৯ রানে থেমে গেল পাঞ্জাবের ইনিংস। অল্প পুঁজি নিয়েও ২৮ রানে ম্যাচ জিতে নিল চেন্নাই সুপার কিংস। প্রতিশোধ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন রুতুরাজরা।