এক সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা নন্দীগ্রামে ৷ তমলুক এগ্রিকালচার সোসাইটির সমবায় নির্বাচন ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের কাঞ্চননগর হাইস্কুলে ৷ বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ছাপ্পা ভোট করানোর জন্য বোমাবাজি করেছে ৷ পালটা বিজেপির বিরুদ্ধে অশান্তির অভিযোগ করেছে তৃণমূল ৷ রবিবার সকাল আটটা থেকে নন্দীগ্রামের কাঞ্চননগর হাইস্কুলে কৃষি সমবায়ের ভোটগ্রহণ শুরু হয় ৷ যেখানে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ৭টি আসনে তৃণমূল, বিজেপি ও নির্দল মিলিয়ে ২২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৷ শুরুর দিকে সব ঠিকঠাক থাকলেও, ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ ৷ বিজেপি অভিযোগ করেছে, ভোটকেন্দ্র দখল করে ছাপ্পা করানোর জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জমায়েত করে ৷ বিজেপির সমর্থকরা তাদের বাধা দিলে, দু’তরফে হাতাহাতি শুরু হয় ৷ এরপর বাঁশ, লাঠি নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে যান দুই দলের কর্মী সমর্থকরা ৷ এসবের মাঝেই ভোটকেন্দ্রের 200 মিটারের মধ্যে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ৷ এরপরেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীরা লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারপিট শুরু করেন বলে অভিযোগ ৷ অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় ৷ এরপর পরিস্থিতি শান্ত হলেও, চাপা উত্তেজনা রয়েছে ৷ পুলিশকে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা ৷ পুরো ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন ৷ অন্যদিকে, বোমাবাজি ও মারামারির খবর পেয়ে কাঞ্চননগর হাইস্কুলে পৌঁছান তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী ৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা দেবপ্রসাদ মাইতি বলেন, “আমার বাড়ি এখানেই । বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম । হঠাৎ কয়েকজন এসে এখানে বোমাচার্জ করে পালিয়ে যায় ৷ আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি ৷” এই ঘটনায় বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, “তমলুক সমবায় ব্যাংকের নির্বাচন হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৷ দুর্ভাগ্যের বিষয় এখানে গতকাল থেকে ১৪৪ ধারা [ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৮৯(৪)] জারি করা হয়েছে । বলা হয়েছে, ১০০মিটারের মধ্যে পাঁচজনের বেশি কেউ জড়ো হবেন না ৷ পুলিশের সামনে তৃণমূলের লোকেরা ভোটারদের ভোট না দিতে দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে ৷ বোম মারছে ৷ পুলিশও ভয়ে ছুটে পালাচ্ছে ৷ সামান্য সমবায়ের ভোটে শাসকদল অশান্তি করছে ৷” যদিও, এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক ৷ তিনি বলেন, “বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই ৷ পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও অস্থির পরিস্থিতি তৈরির পিছনে একমাত্র বিজেপির হাত রয়েছে ৷ এখানেও হেরে যাওয়ার ভয়ে তৃণমূলের নাম জড়ানোর চেষ্টা করছে ৷ পুলিশ প্রশাসন আছে, তাদের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে ৷”