রবিবার সকালেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের পতন হয়েছে সিরিয়ায়।সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। তার সঙ্গে সঙ্গেই সিরিয়ায় পাঁচ দশকের বাথ-জমানার শেষ হয়েছে। দেশ ছেড়েছেন আসাদ। রাজধানী দামাস্কাসের পাশাপাশি একের পর এক শহর চলে গিয়েছে বিদ্রোহীদের দখলে। সেই আবহেই এ বার দামাস্কাসে আসাদের বাসভবনে ঢুকে পড়লেন বিদ্রোহীরা। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ঘরে ঢুকে ছিঁড়লেন পূর্বপুরুষদের ছবি। ভাঙা হল একাধিক ভাস্কর্যও। পতন হয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের। রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিমানে চেপে রাজধানী ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট। এর মধ্যেই গুঞ্জন, মাঝআকাশ থেকে উধাও হয়েছে আসাদের বিমান। তাহলে কি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে সেটি অথবা বিমানটিকে গুলি করে নামিয়েছে বিদ্রোহীরা? বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন পলাতক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ? কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, হাই প্রোফাইল আসাদের বিমান রাডার থেকে আচমকা উধাও হয়েছে নিরাপত্তার খাতিরে। সেক্ষেত্রে লাখ টাকার প্রশ্ন, প্রেসিডেন্টের গন্তব্য কোথায়? আসাদের বিমান সংক্রান্ত তথ্য মিলেছে ফ্লাইটট্রেডার২৪.কম থেকে। সেখানে বলা হয়েছে, ঠিক যে সময়ে দামাস্কাসের দখল নেয় বিদ্রোহী বাহিনী, সেই সময়েই সিরিয়ার মাটি ছাড়ে আসাদের বিমান (Ilyushin Il-76T)। সেটি দেশটির উপকূলের দিকে এগিয়ে যায়। পরে ইউটার্ন করে বলে খবর। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ওয়েবসাইটের লাইভ মানচিত্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। ফ্লাইটট্রেডারের তথ্য বলছে, অদৃশ্য হওয়ার আগে হুড়মুড় করে প্রায় ২ হাজার মিটার নিচে নেমে আসে বিমানটি। অনুমান করা হচ্ছে, হোমস শহর ডিঙোতে গেলে বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে পড়ে আসাদের বিমান। এর পরই সেটি অদৃশ্য হয়ে যায়। তাহলে কি বিদ্রোহী বন্দুকবাজরাই বিমানটিকে গুলি করে নামিয়েছে? নাকি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বিমানটি! প্রধান প্রশ্ন, বিদ্রোহীদের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ কি নিহত হয়েছেন? অন্য মত হল, বহাল তবিয়তে আছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট।নিরাপত্তার খাতিরে তাঁর বিমানের গতিবিধি রাডার থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। রাশিয়ার নির্দেশে মিত্র সেনাঘাঁটিতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। সবটাই এখন ধোঁয়াশায় ঢাকা।