বিনোদন

লড়াই শেষ, প্রয়াত টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা

দীর্ঘ ২০ দিন পরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। শেষ হল সেই দীর্ঘ লড়াই। রবিবার সকালে পর পর বেশ কয়েকবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ঐন্দ্রিলার। শনিবার সন্ধের পর রাতে ১০ বার পরপর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ফের সিপিআর দেওয়া হয়েছে ঐন্দ্রিলাকে। ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন অভিনেত্রী। এর কয়েক ঘণ্টা আগে শনিবার সন্ধেতেও হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। মাইল্ড কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর চিকিৎসকরাই জানান, ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার কিছুক্ষণ পর আবারও হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।চিকিৎসকরা সিপিআর দিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর এবার চিকিৎসকদের চেষ্টায় সাড়া দিলেন না ‘ফাইটার’ ঐন্দ্রিলা। পর পর ২ বার ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেই সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা। আবার কাজে ফেরা। লড়াইয়ের অন্যতম নাম ঐন্দ্রিলা। দীপাবলির সন্ধ্যাতেও সেজেগুজে সোশ্যাল মিডিয়ায়

আলোকময় ছবি পোস্ট করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু তার ১ সপ্তাহের মাথাতেই ১ নভেম্বর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। গত ১ নভেম্বর রাতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁর শরীরের একদিক অসাড় হয়ে যায়। ঘন ঘন বমি করতে থাকেন। অচেতন হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে ছোটেন তাঁর পরিবার ও বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। সেদিন রাতেই অস্ত্রোপচার হয় ঐন্দ্রিলার। তখন থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। মাঝে একবার তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করার প্রক্রিয়া শুরু হলেও, শরীরে সংক্রমণ বাড়তেই ফের তাঁকে সি-প্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। মাঝে বাঁ হাত ও চোখের পাতা একটু নাড়ালেও, জ্ঞান ফেরেনি ঐন্দ্রিলার। বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী লিখেছিলেন, তাঁর গলা চিনতে পারছেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর হার্ট রেট তখন বেড়ে ১৩০-১৪০-এ পৌঁছচ্ছে। সব্যসাচীর ‘এক্সটার্নাল স্টিমুলি’তে ঐন্দ্রিলার সাড়া দেওয়ার খবরে আশায় বুক বেঁধেছিলেন অনুরাগীরা। কিন্তু না, এই ১৫ দিনে একবারের জন্য জ্ঞান ফেরেনি ঐন্দ্রিলার। কোমাচ্ছন্ন ছিলেন তিনি।