জেলা

‘সিপিএমই হাত ধরে বাংলায় বিজেপিকে এনেছে’, বিষ্ণুপুরে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

“মোদি কৃষকদের জমি গ্রাস করে নিচ্ছে, মোদির মতো মিথ্যেবাদী দেখিনি”

বাংলায় বিজেপির উত্থানের জন্য বামেদেরই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ বুধবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সভা থেকে তোপ দাগলেন পূর্বসূরী সিপিএমকে ৷ তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, সিপিএমই হাত ধরে বিজেপিকে এ রাজ্যে নিয়ে এসেছে ৷ পাশাপাশি বিজেপির এই বাড়বাড়ন্তের জন্য নিজের দলের ‘গদ্দার’দেরও যে ভূমিকা রয়েছে, তাও উল্লেখ করতে ভোলেননি মমতা ৷ তাঁর অভিযোগ, কিছু লোক শাসকদলে থেকে ঘুরপথে অনেক টাকা রোজগার করেছে ৷ সেই টাকার ভাগ যাতে বিজেপিকে দিতে না হয়, তারজন্যই ভোটের আগে শিবির বদল করেন তাঁরা ৷ মমতার দাবি, এমন লোকেরা দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে দলের ভালোই হয়েছে ৷ এমনকি, সভামঞ্চ থেকেই এই মীরজাফরদের গেট আউট বলে চেঁচিয়ে ওঠেন তিনি ! ২০১১-তে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন ঘাসফুলের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল কাস্তে হাতুড়ি তারা ৷ কিন্তু রাজ্য়ে পালাবদলের পরও গ্রামীণ স্তরে সিপিএম তথা বামেদের অস্তিত্ব একেবারে মুছে যায়নি ৷ যদিও এরপরই ছবিটা বদলাতে শুরু করে ৷ মূলত মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীর মতো তৃণমূল নেতাদের (তৎকালীন) উদ্যোগেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় দলবদল ৷ বাম-কংগ্রেস ছেড়ে দলে দলে লোকজন তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করে ৷ এবার তৃণমূল ছেড়ে সকলে গিয়ে ভিড়ছে গেরুয়া শিবিরে ৷ যে দলবদলে আবার প্রাক্তন তৃণমূলীদের ভূমিকাই সবথেকে বেশি ৷ সেই তালিকায় সবার উপরে নাম রয়েছে বর্তমানের দুই বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম ৷ ভোটের মুখে যা নিঃসন্দেহে রক্তচাপ বাড়িয়েছে রাজ্যের শাসকের ৷ এইসব দলছাড়াদের গায়ে ইতিমধ্য়েই ‘গদ্দার’, ‘মীরজাফর’-এর মতো ‘উপাধি’ সেঁটে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ পাশাপাশি, এদিন রাজ্য়ে গেরুয়া হাওয়ার দাপটের জন্য বামেদেরও কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ অথচ একদিন এই বামেদের ঘর ভেঙেই নিজের সংসারের বহর বাড়িয়েছিলেন তিনি ! কুৎসাকারীর দল বিজেপি। সিপিএমের হার্মাদরা এদের হাতে করে নিয়ে এসেছে। তিনি এও বলেন, আমার মাথায় ৪৬টা অপারেশন হয়েছিল। আমি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। আগে জঙ্গলমহলে রক্ত ঝরত। এখন এসব হয় না। আমি পাহাড়ে, জঙ্গলমহলের গণ্ডগোল বন্ধ করে দিয়েছি। আমি ৪০ হাজার পুলিসের চাকরি দিয়েছি। আমি কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে বাজিয়ে NPR, NRC রুখেছি।বিনা পয়সায় রেশন পাবেন, দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে। আরও ৩০ লক্ষ বাড়ি গরীব লোকেদের জন্য করে দেব। শিল্পীদের ১০০০টাকা করে দিই। টোটো, গাড়ি চালকদেরও জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প রয়েছে। আমাদের সরকার থাকলে আরও পাবেন। নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের জমি গ্রাস করে নিচ্ছে। মোদির মতো মিথ্যেবাদী দেখিনি।