জেলা

‘মহাভারতের রচয়িতা কৃত্তিবাস’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিপাকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

মহাভারত কে লিখেছেন? তাই নিয়ে রাজ্যের দুই শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বাদানুবাদ। কে ঠিক বলছেন? কাদা ছোড়াছুড়ি উভয় পক্ষের। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর। পালটা শুভেন্দু অধিকারী ভুল তথ্য দিচ্ছেন বলে দাবি তৃণমূলের। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের এক সভায় শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে জানান, মহাভারত কাজী নজরুল ইসলাম লেখেননি, ওটা কৃত্তিবাস ওঝা লিখেছেন। এই মন্তব্যের পরেই সমালোচনা শুরু করা হয় তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে নিজেই ভুল বলছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের একটা সভা থেকে মহাভারত নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মহাভারতের রচয়িতা বলে কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন বলে দাবি করা হয় বিজেপি বিধায়কের তরফে। কাজী নজরুলকে মহাভারতের রচয়িতা বলায় একের পর এক সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সেদিন বলেছেন, ‘বিবেকানন্দ পড়ুন ও জানুন, পঞ্চানন বর্মা পড়ুন ও জানুন, নজরুল পড়ুন, জানুন মহাভারত, নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন, বেদ-বেদান্ত বাইবেল-ত্রিপিটক, গ্রন্থ সাহেব-জেন্দা বেস্তা পড়ে যাও।’ নজরুল ইসলাম কী লিখেছিলেন সেটা বলতে গিয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মহাভারত নজরুল লিখেছেন বলে মন্তব্য করেননি। তৃণমূলের তরফে তাঁদের দলীয় সংবাদ পত্রে লেখা হয়, কৃত্তিবাস ওঝা বাংলা সাহিত্যে ওঝার অনন্য অবদান ছিল। তবে তিনি তাঁর রামায়ণ ( মহাভারত নয়) বাংলায় অনুবাদ করেন। বাঙালির আবেগ, অনুভূতি ও রুচির দিকে লক্ষ্য রেখে সর্বজনবোধ্য পদ্যে মূল সংস্কৃত রামায়ণের ভাবানুবাদ করেন কৃত্তিবাস ওঝা। তৃণমূলের কটাক্ষ, দিল্লির প্রভুদের দাসত্ব করতে গিয়ে বাংলার শিকড়কে ভুলতে বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই এই মন্তব্য।