কলকাতা

কেন্দ্রের আর্থিক প্যাকেজকে বিগ জিরো, আই ওরাশ বললেন মুখ্যমন্ত্রী, দিলেন ব্যাখ্যাও

কোভিড মোকাবিলায় স্পেশ্যাল প্যাকেজ নেই, কৃষকদের ঋণ ছাড়ের ঘোষণা নেই, একটা পয়সা দেওয়া হল না রাজ্যগুলোকে, তারা চলবে কি করে ?

দেশকে ভাঁওতা দিল মোদি সরকার। করোনা মোকাবিলায় আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে মন্তব্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ এটা নয়, এটা ১০ লক্ষ কোটিরও কম টাকার প্যাকেজ। মুখ্যমন্ত্রী এদিন কেন্দ্রের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, অশ্ব ডিম্ব, বিগ জিরো। আই ওরাশ। মানুষকে ধোঁকা ও ভাঁওতা বলেও অভিহিত করেন তিনি। মঙ্গলবার দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে, তা জিডিপির ১০%। এদিন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে ঘোষণা করা হয়েছে তা জিডিপির ১০ শতাংশ নয়, ২ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ এদিনের কেন্দ্রের ঘোষণায় মানি ট্রান্সফারের কোনও কথা নেই। পাবলিক স্পেন্ডিং বাড়ানো হয়নি। এমএসএমই নিয়ে সেই রকম কোনও কথা নেই। রাজ্যগুলিকে সাহায্যের কথা বলা হয়নি। করানো মোকাবিলায় বরাদ্দের কথাও এই ঘোষণায় নেই। কর্ম সংস্থার কথাও বলা হয়নি এই ঘটনায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কেন্দ্রের ঘোষণায় নো আর্নিং, অনলি বার্নিং। রাজ্যের অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র থমকে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর আর দাবি মানুষের বাঁচার অধিকার থমকে গিয়েছে।অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন, তা আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। কৃষকদের ঋণ ছাড়ের ঘোষণা নেই, কিছু দেওয়া হয়নি। একে তো কিছু দেওয়া হয়নি , তার উপর বিভ্রান্তি মূল কথা। একটা পয়সা দেওয়া হল না, রাজ্যগুলো চলবে কি করে?তবে তিনি যখন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন তখন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকেও সেই ভিডিও কলে জুড়ে নেন। তার পর অমিতবাবু আবার বলেন, ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ নয়, এটা মাত্র জিডিপি-র ২ শতাংশ। অর্থাত্‍ ৪.২ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ। অর্থমন্ত্রী সে কথা বলার পরই মুখ্যমন্ত্রী আবারও বলেন, ‘মন্দা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সামাজিক প্রকল্পে খরচ বাড়ানো, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যকে সাহায্য করার জন্য টাকা দেওয়া, টাকা ট্রান্সফার-কিছুই বলল না কেন্দ্র। এই দুর্যোগের সময়েও মানুষকে ধোঁকা ও ভাঁওতা দেওয়া হয়েছে’।