কলকাতা

অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় অপরাধের পরিসংখ্যান অনেক কম, মানুষ এখন ট্রাফিক আইন মানছে: পুলিশ কমিশনার

কলকাতা শহরে অপরাধের পরিসংখ্যান অনেক কম। শুধু তাই নয়, মানুষ এখন ট্রাফিক আইন মানছে। মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স এর একটি আলোচনা সভায় এসে শনিবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, কলকাতা শহরে অপরাধের খতিয়ান অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক কম । তিনি বলেন, আমরা শুধু নিরাপদ শহর গড়তে নয়, আমরা অনেক ধরেন অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। যে কোনো মামলাকে নিয়মিত দেখা হয়। শহরে বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি লাগানোর ফলে অনেক সময় অপরাধের কারণ খুঁজে বার করায় সুবিধা হয়। অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় ক্রাইম রেট অনেকটা কম বলে দাবি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের। এছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা আরো বেশি উন্নত করা হয়েছে। সিগনাল সহ সেন্ট্রাল কন্ট্রোল সিস্টেম প্রথম কলকাতায় চালু করা হয়েছে। ফলে ট্রাফিক ব্যাবস্থাকে সচল রাখার অনেকটা সাহায্য পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। এছাড়া দক্ষ পুলিশ আধিকারিক দের সহায়তায় ট্রাফিক সমস্যাকে আরো সহজ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে ট্রাফিক ব্যাবস্থা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। ৯৯% নিয়ন্ত্রনহীন গাড়ির গতি আটকানো সম্ভব হয়েছে। মানুষ যদি গাড়ি জোর গতিতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থানায় আমরা বাহনের স্পীড নিয়ন্ত্রণ করতে সম্ভব হয়েছি।কলকাতাবাসী এবং তথ্য প্রযুক্তি সাহায্যে আমরা ট্রাফিক ব্যাবস্থাকে আরো ভালো ভাবে করতে পেরেছি বলে জানান তিনি। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফ দ্বারা দুর্ঘটনা অনেক এড়াতে পেরেছি বলে জানান সি পি বিনীত গোয়েল। 94% মানুষ এখন হেলমেট পড়েছেন এবং ট্রাফিক আইন কে মেনে চলছেন। সেভ ড্রাইভ সেফ লাইভ প্রকল্পের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থা অনেক টা উন্নত এবং ভালো হয়েছে। বিশেষ করে স্কুলের বাইরে ট্রাফিক(Traffic) ব্যবস্থাপনার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ স্কুলের সামনে ট্রাফিক জনের একটা সমস্যা থাকে। এছাড়া অভিবাবকদের ছেলে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে একটা চিন্তা ভাবনা থাকে। সেই সব বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করে থাকি। বেআইনি টাকা উদ্ধার নিয়ে মামলাকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এছাড়া সাইবার ক্রাইম এবং ইকোনমিক অফেন্স নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে সেটা নিয়ে আমরা ভালো ভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।এদিন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মুরলিধর, ডি সি ট্রাফিক সন্তোষ পান্ডে, সহ চেম্বারের সভাপতি নামিত বাজোরিয়া সহ সংস্থার অন্যান্য সদস্যরা।