বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ভারত । দু’দেশের সম্পর্কে টানাপড়েনের আবহে ঢাকায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সোমবার এ কথাই জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ৷ হাসিনা-পরবর্তী সময়ে ইউনুস প্রশাসনের সঙ্গে এটাই ছিল ভারতের প্রথম উচ্চস্তরীয় দ্বিপাক্ষক বৈঠক ৷ এদিন অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গেও দেখা করেন বিদেশ সচিব মিস্রি ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মাও ৷ তবে বৈঠক শেষে খানিকটা ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বাংলাদেশ। দুই দেশের সচিব স্তরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেও হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার খবরগুলিকে ‘বিভ্রান্তিকর ও ভুয়ো তথ্য’ বলে উল্লেখ করল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক ৷ একই সঙ্গে ইউনুস প্রশাসন ফের বার্তা দিল, কোনও দেশেরই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো উচিত নয় ৷ সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ও গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ইউনুস প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে ভারত ৷ এরপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন চলছে ৷ এই পরিস্থিতিতে সোমবার সকালে ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) অংশ নিতে ঢাকায় পৌঁছন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল ৷ ঢাকায় পৌঁছে সরকারি অতিথিনিবাস পদ্মা ভবনে বাংলাদেশের বিদেশসচিব মহম্মদ জসীম উদ্দিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেন মিস্রি ৷ কয়েকটি পর্যায়ে দু’ঘন্টা ধরে চলা এই বৈঠকের পর বাংলাদেশের বিদেশ দফতরের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিস্রি।