বিদেশ

ধসের পর ধস, আমেরিকার শেয়ার বাজার থেকে বের করে দেওয়া হল গৌতম আদানির সংস্থাকে

বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ৩ নম্বর স্থান থেকে এখন ১৬ নম্বরে নেমেছেন। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট পেশের পর থেকেই ধাপে ধাপে তিনি স্থান হারিয়েছেন।  সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না রাতারাতি সম্পদের পাহাড়ে চড়ে বসা মোদি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির । একদিকে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পরে দেশের বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এফপিও বাতিলের পর আরও ক্ষতির মুখে পড়েছে আদানি গ্রুপ। প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে তাদের। অন্যদিকে আমেরিকার শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, আদানি এন্টারপ্রাইজকে ডাউ জোনসকে থেকে হঠানো হচ্ছে। কোম্পানির শেয়ারের ক্রমাগত পতনের কারণেই সূচকটি থেকে আদানি এন্টারপ্রাইজ স্টকগুলিকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন শেয়ারবাজারে আর ব্যবসা করতে পারবে না গৌতম আদানির সংস্থা। আর ডাউ জোনসের সিদ্ধান্ত জানার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রবার ভারতের শেয়ার বাজার আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম হু-হু করে পড়তে শুরু করেছে। কার্যত পথের ভিখারি হতে চলেছেন মোদি বান্ধব শিল্পপতি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক রিপোর্টে গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতির বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে। ওই রিপোর্টের পরেই আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দামে ধস নামে। যদিও হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে ভারতের উপরে আক্রমণ আখ্যা দিয়ে দেশপ্রেমে সুড়সুড়ি দিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শিল্প সংস্থার কর্তারা। কিন্তু পাল্টা হিন্ডেনবার্গ জানিয়ে দেয়, জাতীয় পতাকায় শরীর মুড়ে ভারতকে লুঠ করছেন গৌতম আদানি। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের উপরেই ভরসা রেখেছেন বিনিয়োগকারীরা। যার ফলে প্রতিদিনই হাজার্-হাজার কোটি টাকা সম্পত্তি হারাচ্ছেন এক সময়ে বিশ্বের দুই নম্বর ধনীর তকমা পাওয়া গৌতম আদানি। গত ২৪ জানুয়ারির পরে অন্তত সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি খুঁইয়েছেন তিনি। যার ফলে বিশবের ধনী তালিকায় তিন নম্বর থেকে শুক্রবার ২১ নম্বরে নেমে গিয়েছেন। মার্কিন শেয়ারবাজার থেকে আদানি গোষ্ঠীকে বের করে দেওয়ার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও মুখ ফেরাবেন বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।