কলকাতা

‘সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি, দিলীপের নথি কি দেখতে পায় না সিবিআই?’, অভিষেককে তলব প্রসঙ্গে প্রশ্ন কুণালের

 কুন্তল ঘোষ নামে নিয়োগ মামলার এক বন্দি অভিযুক্ত কী লিখেছে, তার উপর দাঁড়িয়ে তড়িঘড়ি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল সিবিআই। কী তাড়া, কী তাড়া! কোর্ট মিটতে না মিটতেই নোটিস। আবার সে নোটিসে ২৪ ঘণ্টাও সময় দেওয়া নেই। শুক্রবার দুপুরে নোটিস বলছে, শনিবার সকালেই অভিষেককে উপস্থিত হতে হবে। অভিষেক নবজোয়ার যাত্রা থামিয়ে সিবিআই অফিস যাবে। আইনি পদ্ধতি মানছে। এতে ওর উচ্চতা আরও বাড়বে। কিন্তু, সিবিআইয়ের এই পক্ষপাতদুষ্ট অতিসক্রিয়তা আরও কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আনছে। ১) কুন্তল ঘোষের চিঠির উপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়, তা হলে সুদীপ্ত সেনের কোর্টে লেখা চিঠির উপর শুভেন্দু অধিকারী গ্রেপ্তার হবে না কেন? সিবিআই আর কত পক্ষপাত দেখাবে?
২) কুন্তলের চিঠিতে অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। শুধু কথার জাগলারিতে কায়দা করে নাম জড়িয়ে অভিষেককে ডাকার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, সারদাকর্তার চিঠিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। কুন্তল, সুদীপ্ত সেন দু’জনেই জেলবন্দি এবং একই পদ্ধতিতে কোর্টকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সুদীপ্ত সেন যে অভিযোগ করেছেন, সেটি নতুন নয়। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পরেও নয়। এই অভিযোগ ২০১৩ সাল থেকেই সামনে আছে। কেন সিবিআই শুভেন্দুকে গ্রেফতার করছে না? এই গ্রেপ্তারি এড়াতেই দলবদল, সেটা প্রমাণিত।
৩) যে বিষয়ে তলব, তার এতটা তাড়াহুড়ো সত্যিই দরকার ছিল? এতে কি আরও বেশি করে স্পষ্ট হচ্ছে না যে অভিষেকের জনজোয়ারের চাপেই এখন তাতে বিঘ্ন ঘটাতে এই কাণ্ড হচ্ছে?